
কলকাতা: এসএসসি-র নবম-দশম ও একাদশ দ্বাদশের লিখিত পরীক্ষার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে মামলার ভবিষ্যতের ওপর। শুক্রবার একটি মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার। শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে যে নম্বর ধার্য করা হয়েছে, তা ইন্টারভিউয়ের আগে দেওয়া হবে নাকি মেধাতালিকা প্রকাশের আগে, তা নিয়ে একটি মামলা দায়ের হয় আদালতে। পাশাপাশি ২০১৬ সালে যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁরাও কেন অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর পাবেন, সে প্রশ্নও ছিল মামলাকারীদের। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, “লিখিত পরীক্ষার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে মামলার ভবিষ্যতের ওপর।” অভিজ্ঞমহলের মতে, বিচারপতির এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আগামী ১২ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এদিকে, এদিনই একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ফল প্রকাশিত হয়। কিন্তু ওয়েবসাইটে সেই ফল দেখার ক্ষেত্রে দীর্ঘক্ষণ সমস্যা হয়। একাদশ-দ্বাদশে ১২ হাজার ৫১৪ শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। আবেদন করেছিলেন ২.৪৬,৫৪৩ জন।
দু’টি স্তর মিলিয়ে শূন্যপদ ৩৫ হাজার ৭২৬টি। তার মধ্যে একাদশ ও দ্বাদশের ১২ হাজার ৫১৪টি শূন্যপদ রয়েছে। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে আবেদন করেছিলেন দু’লক্ষ ৪৬ হাজার ৫৪৩ জন। তার মধ্যে ৩ হাজার ১২০ জন বিশেষ ভাবে সক্ষম। ৯৩ শতাংশ পরীক্ষায় বসেছিলেন। ১০০টি শূন্যপদের জন্য ডাক পাবেন ১৬০ জন চাকরিপ্রার্থী। এর ফলে ৩৫ হাজার ৭২৬ টি শূন্যপদের জন্য ডাক পাবেন ৬০ হাজার চাকরিপ্রার্থী। দেখার চাকরিহারা চাকরিপ্রার্থীদের কতজন এই চরম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন।
মামলার জটে এই পরীক্ষাও। এসএসসি সূত্রে খবর, এই আট জন চাকরিপ্রার্থী দাবি করেন, তাঁরা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকতা করেন। তাঁদেরও যাতে রাজ্যের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের মতো অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ১০ নম্বর দেওয়া হয়, তা বিবেচনা করতে।