SSC Case: এসএসসি দফতর থেকে ১০ টি হার্ড ডিস্ক বের করে আনল সিবিআই

SSC Case: হার্ড ডিস্কগুলির ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে। এ ছা়ড়া বেশ কিছু নথি ও পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।

SSC Case: এসএসসি দফতর থেকে ১০ টি হার্ড ডিস্ক বের করে আনল সিবিআই
এসএসসি দফতরে তল্লাশি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 30, 2022 | 4:21 PM

কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে অনেক প্রভাবশালীর। এসএসসি বা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কর্তা থেকে শুরু করে রাজ্যের দুই মন্ত্রীর নামও জড়িয়েছে সেই কেলেঙ্কারিতে। নিয়োগের বেনিয়মে হাত ছিল কাদের? কার নির্দেশে প্যানেলে নাম না থাকা প্রার্থীরাও চাকরি পেলেন? এই সব তথ্য জানতে ইতিমধ্যেই দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিবিআই। এরই মধ্যে আচার্য সদন অর্থাৎ এসএসসি দফতর খুঁজে একাধিক হার্ড ডিস্ক বের করে আনলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেই সঙ্গে বেশ কিছু নথিও বের করা হয়েছে। সূত্র খুঁজতেই তল্লাশি চালানো হয় সিবিআই- এর তরফে।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, গত শনিবার ও রবিবার, দু দিন ধরে   এসএসসি দফতরে তল্লাশি চালানো হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, ওই অফিস থেকে আধিকারিকরা ১০ টি হার্ড ডিস্ক পেয়েছেন। সেই সব হার্ড ডিস্ক পাঠানো হচ্ছে সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে। ফরেনসিক পরীক্ষা করে দেখা হবে, কী আছে ওই হার্ড ডিস্কে। এ ছাড়া যে সব নথি পাওয়া গিয়েছে, সেগুলির সঙ্গে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ের সম্পর্ক আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। আগে মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে বেশ কিছু নথি পেশ করার কথা বলেছিল সিবিআই। কিন্তু এসএসসি দফতের তল্লাশি চালিয়ে নথি বের করে আনা হল এই প্রথনবার।

এ দিকে, সোমবারই এসএসসি দুর্নীতির মামলাকারীদের তলব করা হয়েছে নিজাম প্যালেসে। দুর্নীতির আরও বেশি সূত্র খুঁজে বের করতে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে চান আধিকারিকরা। এ দিন মামলাকারী অনিন্দিতা বেরা, দীপঙ্কর  মান্না, মিলন দাস এসেছেন সিবিআই দফতরে। তাঁদের সঙ্গে একাধিক নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। র‍্যাঙ্ক কার্ড, অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে আসতে বলা হয়েছে তাঁদের। তবে মন্ত্রীর পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে যিনি মামলা করেছিলেন, সেই ববিতা এ দিন নিজাম প্যালেসে আসতে পারেননি। জানা গিয়েছে, ট্রেনের টিকিট পাননি বলেই এ দিন আসতে পারেননি তিনি।

উল্লেখ্য, এই মামলায় আদালতের নির্দেশে তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে, সিবিআই। ইতিমধ্যে রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ও পরেশ অধিকারীকে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। নিয়োগে গরমিলের ক্ষেত্রে তাঁদের কী ভূমিকা, তা জানতে চায় সিবিআই।