CM Mamata Banerjee: মমতাই আচার্য, সিন্ধান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে

CM Mamata Banerjee: শিক্ষা হোক বা অন্যান্য আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক নানা ইস্যুতে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে লাগাতার ‘অসহযোগিতার’ অভিযোগ তুলেছে রাজ্য সরকার। তারফলেই এই এই প্রস্তাব?

CM Mamata Banerjee: মমতাই আচার্য, সিন্ধান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে
ছবি - মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচর্য, সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 26, 2022 | 7:50 PM

কলকাতা: ফের সপ্তমে উঠতে চলেছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত(State-Governor conflict)। এদিকে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) বসতে পারেন রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালের আচার্যের (Chancellor of the University) আসনে। এই জল্পনা শোনা যাচ্ছিল বিগত কয়েক মাস ধরেই। তবে এই সিদ্ধান্ত, আদৌও বাস্তবায়িত হবে কিনা তা নিয়ে চাপানউতর চলছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন পেল নতুন প্রস্তাব। যদিও প্রস্তাবে অনুমোদন মিললেও তা বিল আকারে পেশ হবে বিধানসভায়। শেষ পর্যন্ত তাতে চূড়ান্ত সম্মতি লাগবে রাজ্যপালের। করতে হবে আইন সংশোধন। এদিকে এর আগে একই পথে হাঁটতে দেখা গিয়েছে তামিলনাড়ু ও গুজরাট সরকারকে। এই পদক্ষেপ করেছে কেরলও। এবার সেখানে বাংলাতেও তারই প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া যায় কিনা তা এখন সময়ের অপেক্ষা। 

সহজ কথায়, বিল পাশ হয়ে গেলে রাজ্যপালের পরিবর্তে এবার থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য পদে দেখা যাবে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকে। এই মর্মেই রাজ্য সরকার বিধানসভায় বিল আনতে চলেছে। যা নিয়েই চাপান-উতর চলছিল বিগত কয়েক মাস ধরে। অবশেষে মমতাকে আচার্য করার প্রস্তাবে এদিন মন্ত্রীসভার বৈঠকে অনুমোদন মিলল। এখন দেখার নয়া অনুমোদন সম্পর্কে কী অবস্থান নেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর।  প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে পুঞ্চি কমিশন স্বরাষ্ট্র দফতরে প্রথম এই প্রস্তাব পেশ করে। তারপরই ধীরে ধীরে তা বাস্তাবায়ন করতে দেখা গিয়েছে একাধিক রাজ্য়কে। 

প্রসঙ্গত, শিক্ষা হোক বা অন্যান্য আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক নানা ইস্যুতে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে লাগাতার ‘অসহযোগিতার’ অভিযোগ তুলেছে রাজ্য সরকার। পাল্টা সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে। এদিকে মমতাকে যাতে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্যের আসনে বসানো যায় সে বিষয়ে সরকার যে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে, সে ইঙ্গিত কিছুদিন আগেই দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অবশেষে মন্ত্রিসভার অনুমোদন মেলায় তা নিয়ে জোরদার চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে প্রশাসনিক মহলে। রাজ্যপালের ‘অসহযোগিতার’ কারণেই নবান্ন এই রাস্তায় হাঁটার সিদ্ধান্ত নিল বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। 

এদিকে, ২০১১ সালে যখন মমতা ক্ষমতায় আসেন। তখন রাজ্যের রাজ্যপালের আসনে ছিলেন কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। যদিও তাঁকে নিয়ে বিশেষ সমস্যা হয়নি রাজ্যের। কিন্তু ধনখর আসনে বসতেই বারবার উঠেছে অসহযোগিতার অভিযোগ। নবান্ন সূত্রে খবর, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে বারবার ‘সমস্যা’ তৈরি করেছেন রাজ্যাপাল। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপচার্য নিয়োগের জন্য রাজ্যের তরফে নাম প্রস্তাব হলেও করছিলেন না সই। তাই নবান্নের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাতের রাস্তা আরও চওড়া হচ্ছিল। সম্প্রতি এই বিষয়ে কথা বলতে রাজভবনেও গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সঙ্গে ছিলেন শিক্ষা সচিব মনীশ জৈন। কিন্তু সেখানেও বের হয়নি কোনও রফা সূত্র।