Mamata Banerjee: বারাণসীর আদলে কলকাতাতেই গঙ্গা আরতি! পুরসভাকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

Mamata Banerjee: গঙ্গা আরতি ব্যবস্থাপনা করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি প্রিন্সেপ ঘাটের ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ার জন্য মেয়র ফিরহাদ হাকিমের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশও করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Mamata Banerjee: বারাণসীর আদলে কলকাতাতেই গঙ্গা আরতি! পুরসভাকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 21, 2022 | 4:49 PM

কলকাতা: গঙ্গা আরতি দেখার জন্য আর বারাণসী যাওয়ার দরকার নেই! এবার বারাণসীর ঘাটের আদলে কলকাতাতেই গঙ্গা আরতি হবে। সোমবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহরে গঙ্গা আরতির ব্যবস্থা করার জন্য এদিন প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি প্রিন্সেপ ঘাটের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারেও কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমকে কড়া নির্দেশ দেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পর থেকেই কলকাতা তথা রাজ্যের সৌন্দর্যায়নে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গার সৌন্দর্যায়ন, ঝুলন্ত রেস্তোরাঁ, ফোয়ারার সঙ্গে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড সিস্টেম সহ একাধিক ব্যবস্থাপনা করেছেন তিনি। বাদ ছিল কেবল গঙ্গা আরতি। এবার সেটাও হতে চলেছে। যোগী রাজ্যের তুলনায় এই শহরেও গঙ্গা আরতির দৃশ্য যাতে কোনও অংশে কম না হয়, সে ব্যাপারেও সতর্ক মুখ্যমন্ত্রী। তাই শহরে গঙ্গা আরতির ব্যবস্থাপনা ঠিক কী রকম হবে, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আমি চাই, গঙ্গা আরতির একটা জায়গা এখানে হোক। উত্তর প্রদেশে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় গঙ্গা আরতি হয়। আমিও চাই, এখানেও এটা হোক। এমন একটা জায়গায় গঙ্গা আরতির ব্যবস্থা করতে হবে, যেখানে বসার জায়গা আছে। আরতি দেখতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে লোক পড়ে যাবে না, কোনও মন্দির আছে, লোকে যেখানে শান্তির পীঠস্থান মনে করে, সেরকম একটা জায়গা দেখে গঙ্গা আরতি করার নির্দেশ দিচ্ছি কলকাতা পুরসভাকে।” এই ব্যবস্থাপনা করার জন্য দু-বছরের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

গঙ্গা আরতি ব্যবস্থাপনা করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি প্রিন্সেপ ঘাটের ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ার জন্য মেয়র ফিরহাদ হাকিমের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশও করেন মুখ্যমন্ত্রী। রীতিমতো ধমকের সুরে তিনি বলেন, “প্রিন্সেপ ঘাটের অবস্থা খুব খারাপ। ওখানে পৌষমেলা হয়। কলকাতার লোকেদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। তাই এটা করেছিলাম। কেন সেটা মেরামত হচ্ছে না? কখনও অফিসার, কখনও মন্ত্রী, কখনও সরকার বদল হয়। কিন্তু নীতি তো বদল হয় না। কেন এটা নিয়মিত মনিটরিং হবে না?” প্রিন্সেপ ঘাটের পাশাপাশি হাওড়া থেকে নবান্ন যাওয়ার রাস্তার পরিচ্ছন্নতা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ফরসোর রোডে ঠিকমতো আলো জ্বলছে না, কেন রাস্তা জল দিয়ে ধোওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। কাছেই পুরসভা, জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনারের অফিস থাকা সত্ত্বেও এগুলি কেন তাঁদের নজরে পড়ছে না তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী থেকে আমলাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমরা নিজেদের সমালোচনায় ব্যস্ত থাকছি। সবসময় নেতিবাচক কথা না বলে সদর্থক চিন্তা করতে হবে।” মন্ত্রীরা আসে যায়, কিন্তু নীতি একই থাকে। প্রত্যেককে নিজের দফতরের কাজ দেখতে হবে বলেও কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।