CBI Investigation: তদন্ত কেন শেষ হচ্ছে না? আদালতের কড়া প্রশ্নের মুখে সিবিআই

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচার - একের পর এক মামলা ঘিরে যখন তপ্ত রাজনীতির ময়দান, ঠিক তখনই তদন্তে ঢিলেমির জন্য সিবিআই-কে আদালতের মুখঝামটা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

CBI Investigation: তদন্ত কেন শেষ হচ্ছে না? আদালতের কড়া প্রশ্নের মুখে সিবিআই
সিবিআই-কে ভর্ৎসনা আদালতের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 02, 2022 | 2:30 AM

কলকাতা: রাজ্য জুড়ে পুজো ঘিরে শুরু হয়েছে উৎসব। মণ্ডপ, প্রতিমা, আলোকসজ্জায়- কে কাকে টেক্কা দিল, কোন মণ্ডপ সেরার সেরা- এ সব নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেও হারিয়ে যায়নি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা এবং এই মামলা ঘিরে সিবিআই তদন্ত। এই মামলার তদন্ত নিয়ে আদালতে সিবিআইকে বেশ কিছু কড়া প্রশ্নের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট যেমন জানতে চেয়েছে, তদন্ত শেষ হবে কবে? আলিপুরের সিবিআই আদালতও মনে করছে তদন্তকারী সংস্থার কাজে ঢিলেমি রয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচার – একের পর এক মামলা ঘিরে যখন তপ্ত রাজনীতির ময়দান, ঠিক তখনই তদন্তে ঢিলেমির জন্য সিবিআই-কে আদালতের মুখঝামটা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ফের একবার আদালতের ভর্ৎসনা হজম করতে হল সিবিআই-কে। ৩০ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টচার্যের মামলার শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে। এ দিন আদালতে সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়, টেট দুর্নীতির যাবতীয় দুর্নীতির মাথা মানিক ভট্টাচার্য। তাঁকে কেন হেফাজতে রাখা দরকার, সেই যুক্তিও দেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। যদিও তদন্তের গতি নিয়ে সিবিআইয়ের উপর বিরক্তি প্রকাশ করেছে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সূত্রের খবর, বেঞ্চের তরফে সিবিআই-কে প্রশ্ন করা হয়, “টেট তদন্তে এত দীর্ঘসূত্রতা কেন? সিবিআই দশকের পর দশক ধরে এক একটা মামলার তদন্ত করে কেন?” সূত্রের দাবি, সেই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি সিবিআইয়ের আইনজীবী। এর পর আদালত জানতে চায়, তদন্তে আর কত সময় লাগবে? অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল জবাব দেন, সিবিআইয়ের কাছে জেনে তবে তিনি বলতে পারবেন। বিচারপতি বিরক্ত হয়ে বলেন, “আপনারা নির্দিষ্ট সময় বলুন। আদালত চায় না বছরের পর বছর তদন্ত চলুক।“

মানিকের পাশাপাশি সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে নিয়েও আদালতে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে সিবিআই-কে। তবে সেটা সুপ্রিম কোর্টে নয়, এ রাজ্যেই। গত ২৬ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টায় আলিপুর সিবিআই আদালতে তোলার কথা ছিল SSC-র প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে। নির্ধারিত সময়ের অন্তত আধ ঘণ্টা পরে সুবীরেশকে নিয়ে আদালতে পৌঁছন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, তাতে অসন্তুষ্ট হন ভারপ্রাপ্ত বিচারক শেখ কামালউদ্দিন। কেন সুবীরেশকে আনতে দেরি হল, তা জানতে চান তিনি। তদন্তকারীরা জানান, রাস্তায় যানজট ছিল। সেই যুক্তি উড়িয়ে বিচারক বলেন, নিজাম প্যালেস থেকে আলিপুর আদালত হেঁটে এলেও এত দেরি হওয়ার কথা নয়। এখানেই শেষ নয়, সুবীরেশ তদন্তে সহযোগিতা করেছেন না, এই অভিযোগ করে তাঁকে ফের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় সিবিআই। পাল্টা সওয়ালে সুবীরেশের আইনজীবী বলেন, “আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও তাঁদের মক্কেলকে জেরার সময় আইনজীবীদের থাকতে দেওয়া হচ্ছে না।“ তখন সিবিআই আইনজীবী জানান, ২১ তারিখ সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে জেরা করা হয়েছে। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত এগোচ্ছে। বিচারক জিজ্ঞাসা করেন, “তার মানে এই পাঁচ দিন সুবীরেশকে জেরা করা হয়নি? তা হলে তদন্তে অসহযোগিতার প্রশ্ন উঠছে কী করে?” সূত্রের খবর, কার্যত কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়েই সিবিআইয়ের আর্জি খারিজ করে সুবীরেশের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।