COVID19 in Kolkata: খাঁ খাঁ করছে গড়িয়াহাট বাজার, দেখা নেই ক্রেতার, বন্ধ মাইকিং
Kolkata: গড়িয়াহাটের একাধিক আবাসনেই কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা কমপক্ষে ৫ জন বা তার বেশি। ফলে সেই আবাসনগুলিকে চিহ্নিত করে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করেছে পুরসভা।
কলকাতা: রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই কলকাতার একাধিক স্থানে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জ়োন ঘোষিত হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে গড়িয়াহাটও। এরপরেই শুক্রবারের সকালে দেখা গেল গড়িয়াহাটের এক অচেনা ছবি। খাঁ খাঁ করছে বাজার (Market) । বিক্রেতারা থাকলেও ক্রেতাদের দেখা নেই। এক-দু’জন খদ্দের যাঁরা আসছেন সকলেই মাস্ক পরে আসছেন। সেভাবে ভিড় না থাকায় বন্ধ হয়েছে মাইকিং চেকিং।
খাঁ খাঁ করছে বাজার
বাজারের এক বিক্রেতার কথায়, “সকাল থেকেই আজ বাজারে কোনও লোক নেই। কীভাবে বিক্রিবাটা চালাব, জানি না। না খাওয়ার জোগাড় হয়েছে আমাদের। সপ্তাহে শনি-রবিবার একটু লোকজন আসছে। বাকি পুরোই ফাঁকা।” বিক্রেতাদের একাংশের অভিমত, করোনার বিধিনিষেধ চালু হওয়ার পর থেকেই বাজারে ক্রেতা আসার সংখ্যা কমেছে। সাধারণত, সপ্তাহান্তে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। একেবারে গোটা সপ্তাহের জিনিস কিনেই বাড়ি চলে যাচ্ছেন সকলে। আর দেখা যাচ্ছে না তাঁদের। ফের শনি-রবিবার দেখা মিলছে ক্রেতাদের। সোম থেকে শুক্রবার পর্যন্ত হাতে গোনা দুই-তিনজন ক্রেতাকেই দেখা যাচ্ছে বাজারে।
উল্লেখ্য, গড়িয়াহাটের একাধিক আবাসনেই কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা কমপক্ষে ৫ জন বা তার বেশি। ফলে সেই আবাসনগুলিকে চিহ্নিত করে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করেছে পুরসভা। শুধু গড়িয়াহাট নয়, নতুন করে তৈরি হওয়া মাইক্রো কনটেইনেমন্ট জ়োনের তালিকায় রয়েছে, উত্তর কলকাতার একাধিক এলাকা। শ্যামপুকুর ফুলবাগান, মানিকতলা, বৌবাজার, প্রগতি ময়দান-সহ একাধিক এলাকা। এছাড়াও রয়েছে, গড়িয়াহাট, রিজেন্ট পার্ক, শেক্সপিয়র সরণি, বালিগঞ্জ, ভবানীপুর, গড়িয়াহাট, টালিগঞ্জ-সহ একাধিক এলাকা।
লক্ষ্যণীয়ভাবে অনেকটা এলাকা জুড়ে নয়, কোনও কোনও আবাসনের কেবল একটি তলকেও মাইক্রোকনটেইনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করে ওই নির্দিষ্ট আবাসনের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে যে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জ়োনগুলি তৈরি হয়েছে সেই তালিকায় রয়েছে ডায়মণ্ড সিটির ২ টি টাওয়ার। এছাড়াও রয়েছে, গড়িয়াহাটের তিনটি আবাসনের দ্বিতল ও ত্রিতল চত্বর। সেক্ষেত্রে গোটা আবাসনটি কনটেইনমেন্টের তালিকায় রয়েছে। কনটেনমেইনটের তালিকায় রয়েছে তিনটি ছাত্রাবাসও।
এক বিক্রেতা পিছু এক ক্রেতা
অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে অভিনব ব্যবস্থা নিতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। বাজারে ভিড় এড়াতে প্রত্যেক বিক্রেতা পিছু একজন করে ক্রেতা থাকবেন এমনটাই বলা হচ্ছে সেই নির্দেশিকায়। তবে এখনও তা চূড়ান্ত করা হয়নি। বৃহস্পতিবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল-সহ একাধিক অধিকর্তারা বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই এই অভিনব পন্থাটির কথা উঠে আসে। শীঘ্রই এই নিয়ম জারি করা হবে বলে খবর।
এই নতুন নিয়মে, কোনও একজন বিক্রেতার কাছে ১ জনের বেশি ক্রেতা থাকা যাবে না। অর্থাৎ, যদি কোনও বাজারে ৫০ জন বিক্রেতা উপস্থিত থাকেন তাহলে সেই বাজারে ৫০ জন ক্রেতাই উপস্থিত থাকবেন। সেই ক্রেতারা যখন বেরোবেন, তখন অপর রাস্তা দিয়ে বাকিদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। বাকি ক্রেতারা লাইন দিয়ে অপেক্ষা করবেন বাজারের বাইরে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ৪২১, বুধবার যে সংখ্যাটা ছিল ১৪ হাজার ২২। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। বুধবারের তুলনায় পজিটিভিটি রেট বেড়েছে কিছুটা। বুধবার যে হার ছিল ২৩.১৭ শতাংশ, বৃহস্পতিবার সেটাই বেড়ে হয়েছে ২৪.৭১ শতাংশ।