CPIM: হিন্দুত্ব প্রচারের বিরুদ্ধে পাল্টা লড়াইয়ে সিপিএম

CPIM: দলীয় কর্মীদের জন্য স্পষ্ট বার্তা, “আরএসএস-বিজেপি হিন্দুত্বের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। হিন্দুত্বের প্রচারের বিরুদ্ধে আমাদের মতাদর্শগত, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সর্বক্ষেত্রেই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।”

CPIM: হিন্দুত্ব প্রচারের বিরুদ্ধে পাল্টা লড়াইয়ে সিপিএম
বিজেপি-আরএসএসের হিন্দুত্ব প্রচারের বিরুদ্ধে পাল্টা মতাদর্শগত লড়াইয়ে সিপিআইএম
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 10, 2021 | 5:20 PM

কলকাতা: অসুখের সন্ধান করা গিয়েছে, এবার রোগ নিরাময়ের সন্ধানে সিপিএম। দিল্লির এ কে গোপালন ভবন থেকে কলকাতার মুজাফফর আহমেদ ভবন, কেন্দ্র থেকে রাজ্য, জেলা থেকে ব্রাঞ্চ তত্ত্ব কথার সিপিএম বুঝতে পেরেছে, ‘অবিরাম রক্তক্ষরণেই দুর্বল হচ্ছে দল।’ ‘রক্তাল্পতায় ভুগছে’ মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টি। কারণ হিসেবে সীতারাম ইয়েচুরি এবং সূর্যকান্ত মিশ্ররা মেনে নিয়েছেন, বামের রাম হওয়ার প্রবণতাই অমাবস্যা ডেকে নিয়ে এসেছে।

‘আদর্শগত বিচ্যুতি’র কথা উল্লেখ করে নিজেদের রিপোর্টে সিপিএম উল্লেখ করেছে, কমরেডদের ‘প্রথমে তৃণমূল ও পরে বিজেপি-তে চলে যাওয়ার ঘটনাই’ দলের ভগ্নদশার অন্যতম প্রধান কারণ।

দলের ব্যাধি নিরাময়ে সিপিএমের সেই চিরায়ত দাওয়াই, ‘মতাদর্শগত সংগ্রাম।’ কেন্দ্র, রাজ্য, জেলা, অঞ্চল, ব্রাঞ্চ — পিরামিডাকৃত শৃঙ্খলার দলে ডোজ় এই একটাই। আদর্শের লড়াই।

শাসকের আক্রমণের মুখে নেতারা যে পার্টি কমরেডদের পাশে দাঁড়াতে পারেনি, সেকথাও একপ্রকার বকলমে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে সাম্প্রতিক রিপোর্টে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পর্যালোচিত রাজনৈতিক ঘটনাবলী সম্পর্কিত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে আসন্ন সংকটের কথাও। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার স্মৃতি জাগিয়ে সিপিএম দলীয় কমরেডদের সতর্ক করছে, ‘বিজেপি-আরএসএস হিন্দুত্বের প্রচার করছে, যা কি না ধর্মনিরপেক্ষতার পরিপন্থী।’ ‘সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের’ বিরুদ্ধে মতাদর্শগত প্রচারের পক্ষেও সওয়াল করা হয়েছে ঐ রিপোর্টে। সেখানে দলীয় কর্মীদের জন্য স্পষ্ট বার্তা, “আরএসএস-বিজেপি হিন্দুত্বের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। হিন্দুত্বের প্রচারের বিরুদ্ধে আমাদের মতাদর্শগত, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সর্বক্ষেত্রেই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।” অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীদিনে কমরেডদের বিপদের দিনে পাশে থাকার কথাও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সিপিএমে এখন উভয় সঙ্কট। একদিকে সাংগঠনিক ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে সদস্যপদের অবনমন। অন্যদিকে রাজনৈতিক রণকৌশলগত টানাপোড়েন। কেরল বনাম বাংলা তো ছিলই, জাতীয় স্তরে এবার জোট লাইন নিয়ে আড়াআড়ি বিভক্ত মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টি। কংগ্রেস-তৃণমূলের মধুচন্দ্রিমায় কার্যত দিশেহারা বামেরা। এই পরিস্থিতিতে ঘর গোছাতে আরও বেঁধে বেঁধে থাকারই বার্তা সিপিএমে।

আরও পড়ুন: ৪৩টি বেশ্যালয়ের মালিক ছিলেন খোদ প্রিন্স দ্বারকানাথই! কীভাবে গড়ে উঠল সোনাগাছি?