By Election Counting: ৫ থেকে ভোট শতাংশ বেড়ে ৩০, রাজনৈতিক ‘বার্তা’ বলে মনে করছে বামেরা
By Election Counting: বিধানসভা নির্বাচনের পর পুরভোটেও দেখা গিয়েছে বামেদের ভোট শতাংশ বেড়েছে। আর এবার বালিগঞ্জে বিজেপির থেকে অনেকটাই এগিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল সিপিএম।
কলকাতা : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত অস্তিত্ব হারিয়েছিল বামেরা। বাংলায় ৩৪ বছর শাসন চালানো একটি দল এককভাবে একটিও আসন পায়নি বিধানসভায়। তারপরই খোলনলছে বদলতা শুরু করে বামেরা। তরুণ মুখ সামনে আনার প্রবণতা দেখা যায়। বিধানসভা নির্বাচনের পর যে সব উপ নির্বাচন হয়েছে, সেখানেও বামেদের ভোট শতাংশ বেড়েছিল অনেকটাই। পুরভোটেও সেই ট্রেন্জ বজায় ছিল। আর এবার বালিগঞ্জ উপ নির্বাচনে বড় চমক দিল বাম শিবির। ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে সিপিএম।
বালিগঞ্জে সিপিএম প্রার্থী সায়রা হালিম পেয়েছেন মোট ৩০ হাজার ৯৭১টি ভোট। তাঁর প্রাপ্ত ভোট শতাংশ ৩০.০৬। এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু বাবুলের প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান খুব বেশি নয়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বামেরা তথা সংযুক্ত মোর্চা পেয়েছিল ৫.৭ শতাংশ ভোট। আর সেটাই এবার বেড়ে ৩০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। তাই এই ফলাফল বামেদের জন্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এই ফল প্রসঙ্গে সায়রা হালিম জানান, বিপুল জনসমর্থন পেয়েছেন তিনি। অনেক সংখ্যালঘু মানুষের হৃদয় জিতে নিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর দাবি, এই ফলাফলই বার্তা দিল যে এবার রাজ্যে মূল বিরোধী হয়ে উঠতে চলেছে বামেরা। সেই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন, তৃণমূল প্রার্থী জিতেছেন, কারণ তাঁর সঙ্গে ছিল প্রশাসন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক শুভময় মৈত্রের দাবি, বামেদের এই ফল তাদের অক্সিজেন জোগাবে। তিনি উল্লেখ করেন, আগেও অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে বামেদের ভোট শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু, এ ক্ষেত্রে ভোট শতাংশ বেড়েছে বেশ কিছুটা। তাঁর কথায়, ১০-১২ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হওয়া আর ৩০ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হওয়ার মধ্যে অনেক তফাৎ আছে। এই ফল অবশ্যই বামেদের অক্সিজেন জোগাবে। তবে বামেদের এখনও দ্বিতীয় বলার সময় আসেনি বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, সংখ্যার নিরিখে এখনও বিজেপিই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, তবে কার হাওয়া ভারী, সেই হিসেব করলে দেখা যাবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বামেদেরই পাল্লা ভারী।
বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে উল্লেখ বলেন, ‘বোঝাই যাচ্ছে তৃণমূলকে মানুষ পছন্দ করছে না। মানুষ বুঝেছে তৃণমূলের একমাত্র বিরোধী হতে পারে বামেরাই।’ আর আসানসোলের ক্ষেত্রে তাঁর দাবি, যে কেন্দ্র বিজেপির জেতা আসন, সেখানেও বিজেপি হেরেছে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে বিজেপিকে মানুষ চায় না।
আরও পড়ুন : Ballygunge Bi-Election: বালিগঞ্জে জামানত জব্দ পদ্মের, ধস ভোট শতাংশও, কী ব্যাখ্যা দিচ্ছে বিজেপি?