DA Case: হাইকোর্টে ডিএ মামলার শুনানি, তাকিয়ে লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মী
DA Case: ২০ মে আদালত নির্দেশ দেয়, রাজ্য সরকারকে ৩ মাসের মধ্যে সমস্ত কর্মীদের ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত ডিএ দিয়ে উঠতে পারেনি।
কলকাতা: বুধবার হাইকোর্টে ডিএ মামলার শুনানি। মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত আদালত অবমাননার মামলার শুনানির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মী। বেশ কিছুদিন ধরে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেওয়া নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। রাজ্য সরকারের কাছে ডিএ দাবি করে সরকারি কর্মীরা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন।
২০ মে আদালত নির্দেশ দেয়, রাজ্য সরকারকে ৩ মাসের মধ্যে সমস্ত কর্মীদের ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত ডিএ দিয়ে উঠতে পারেনি। মাঝে রিভিউ পিটিশন দাখিল করে রাজ্য সরকার। ২২ সেপ্টেম্বর সেই পিটিশন খারিজ হয়ে যায় ২০ মে যে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট, সেটাই বহাল রাখা হয়। এরপরই হাইকোর্টের নির্দেশ মতো বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে না দেওয়ায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারীদের তিনটি সংগঠন আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে।
সরকারি কর্মচারী পরিষদ, কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ এবং ইউনিটি ফোরাম রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এই মামলা করে। বুধবার আদালত অবমাননা এই মামলারই শুনানি বিচারপতি হরিশ টেন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চে।
এদিকে রাজ্য সরকার ডিএ না দিয়ে সোজা সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছে যায়। কিন্তু দেশের শীর্ষ আদালত রাজ্যের আবেদন গ্রহণ করেনি। আবেদন ত্রুটিপূর্ণ, এই যুক্তি দেখিয়ে ফের আবেদনের নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। গত সপ্তাহেই আদালত অবমাননার মামলার শুনানিতে নবান্নের তরফ থেকে জানানো হয়, রাজ্যের কোষাগারের হাল খারাপ। বর্তমান হারের থেকে বেশি ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়। তাতে রাজ্যের আর্থিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে ডিএ নিয়ে কেন অনড় রাজ্য? আর্থিক বিশেষদজ্ঞদের মতে, কর্মচারীদের দাবি মেনে বকেয়া ডিএ দিতে কোষাগার থেকে কয়েক হাজার কোটি বেরিয়ে যাবে রাজ্যের। এদিকে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে আছে কেন্দ্রের ঘরে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ১০০ দিনের কাজ অন্ধকারে। ডিএ মেটাতে গেলে গ্রামীণ অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত বহু প্রকল্প চালাতে আরও সমস্যায় পড়বে রাজ্য, মত আর্থিক বিশেষজ্ঞদের। সেকারণেই আদালতে সহজ স্বীকারোক্তি রাজ্যের।