Dilip Ghosh: ‘আমি না থাকলে তারা তো ভালোই থাকবে’, বাংলার দায়িত্ব ‘হারিয়ে’ কেন এমন বলছেন দিলীপ?

Dilip Ghosh: বুধবারই তাঁকে আট রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর সেই তালিকায় নেই পশ্চিমবঙ্গ।

Dilip Ghosh: 'আমি না থাকলে তারা তো ভালোই থাকবে', বাংলার দায়িত্ব 'হারিয়ে' কেন এমন বলছেন দিলীপ?
দিলীপ ঘোষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 25, 2022 | 11:19 PM

কলকাতা : বাংলার বাইরে বেশ কয়েকটি রাজ্যে সংগঠন সামলানোর দায়িত্ব পেয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বাংলার সংগঠনের দায়িত্ব তাঁকে না দেওয়ায়, বিজেপি সাংসদকে ইতিমধ্যেই কটাক্ষ করতে শুরু করেছে শাসক শিবির। ইতিমধ্যেই কুণাল ঘোষ বলেছেন, দিলীপ বাংলায় থাকুন, এমনটা চান না তাঁর নিজের দলই। আর ঘাসফুল শিবিরের সেই মন্তব্যের জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষ। বুধবার রাতে দিল্লি থেকে ফিরে বিমানবন্দরে এই ইস্যুতে মুখ খোলেন তিনি। তাঁর দাবি, তিনি বাংলায় না থাকলে শাসক দলের নেতাদের ভালই হবে, তাঁরা শান্তিতেই থাকবেন।

বিজেপি নেতারা যখন বলছেন, আদতে দিলীপ ঘোষকে গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে রি নাড্ডা। অন্যদিকে তখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হচ্ছে, বাংলা থেকে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে অন্য রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে। আর সেই প্রসঙ্গে এ দিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমি না থাকলে তারা তো ভালোই থাকবে, শান্তিতে থাকবে। দল যে দায়িত্ব দেয় সেটাই আমরা করি, এটাই আমাদের রীতি।’

দিল্লি থেকে ফিরে তিনি আরও জানিয়েছেন, সংগঠনের কাজই দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তিনি জানান, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নয়া পরিকল্পনা। নতুন করে যে বুথগুলোতে বিজেপি হেরে হেরে গিয়েছে সেগুলোতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে সারা দেশ জুড়ে। সেই উদ্দেশেই পাঁচ জনকে নিয়ে একটি কমিটি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাংসদ। আর সেই কমিটিতেই একজন দিলীপ ঘোষ। জুন মাস থেকে সেই কমিটির কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে গোটা দেশে বিজেপি ‘বুথ সশক্তিকরণ অভিযান’ শুরু করেছে। আর সেই কর্মসূচিতেই দিলীপ ঘোষকে দেওয়া হয়েছে এই বিশেষ দায়িত্ব। বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, আন্দামান ও উত্তর-পূর্বের চার রাজ্য মণিপুর, মেঘালয়, অসম, ত্রিপুরায় সংগঠন বৃদ্ধির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য সভাপতি পদে থেকে বঙ্গ বিজেপি সামলেছেন তিনি। পরে তাঁর জায়গায় সুকান্ত মজুমদার এলেও বঙ্গ বিজেপির অন্যতম মুখ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় দিলীপ ঘোষকে। সেখানে তাঁকে বাংলা থেকে কেন সরিয়ে দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।