Dilip Ghosh On Basirhat Clash: ‘পুলিশের এখন সবচেয়ে বড় কাজ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানো’, বসিরহাটের গুলিকাণ্ডে কটাক্ষ দিলীপের

Dilip Ghosh On Basirhat Clash: "পুলিশের ক্ষমতা নেই সমাজবিরোধীদের গায়ে হাত দেওয়া। পুলিশও তাই করছে। জানি না আর কত জন শহিদ হবেন!"

Dilip Ghosh On Basirhat Clash: 'পুলিশের এখন সবচেয়ে বড় কাজ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানো', বসিরহাটের গুলিকাণ্ডে কটাক্ষ দিলীপের
দিলীপ ঘোষ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 22, 2022 | 12:40 PM

কলকাতা: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অব্যাহত। আর তা নিয়ে নিয়ম করে শাসক দলকে নিশানা করছে বিরোধীরা। মঙ্গলবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “আগেই বলছিলাম পুলিশের এখন বড় কাজ হচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানো।” এদিন সকালে নিউ টাউনে ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দিলীপ ঘোষ। স্বাভাবিকভাবেই বসিরহাটে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে গিয়ে পুলিশ কর্মীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার প্রসঙ্গ উঠে আসে। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ” টাকা পয়সা তুলে দেওয়া, সংগঠনের কাজ করা, ভোট জেতানো এ সবই এখন পুলিশের কাজ। এখন তৃণমূলের মধ্যে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে, সেটা পুলিশকে দিয়ে মেটাতে হচ্ছে। শুধু তাই নয় পুলিশকেও গুলি খেতে হচ্ছে। সমস্ত সমাজ বিরোধীদের নিয়ে তৃণমূল পার্টিটা আছে, গন্ডগোল মারপিট হবেই।” তিনি আরও বলেন, “পুলিশের ক্ষমতা নেই সমাজবিরোধীদের গায়ে হাত দেওয়া। পুলিশও তাই করছে। জানি না আর কত জন শহিদ হবেন!”

সোমবার রাতে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল মেটাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক পুলিশ কনস্টেবল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ঘটনায় রীতিমতো রাজ্যজুড়ে তোলপাড়। সীমান্তবর্তী শাঁকচুড়া বাজারের ঘটনায় থমথমে গোটা এলাকা। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে, রাজ্যে বোমা-গুলির সরবরাহ আটকাতে পুলিশ-প্রশাসনকে চোখ কান খোলা রেখে নাকা চেকিংয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, যাঁদের দায়িত্ব দিয়েছিলেন, সেই উর্দিধারীরাই যে এবার বোমা-গুলির নিশানায়! তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে পুলিশকর্মীকে গুলি করার অভিযোগ।

জানা গিয়েছে, টাকি রোডের উপর তৃণমূল কার্যালয়ে কাজিয়া বাধে। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে গালিগালাজ হয় বলে অভিযোগ। এরপরই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এটি বরাবরই অশান্তি প্রবণ এলাকা। তাই গন্ডগোল মেটাতে কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়েই, ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বসিরহাট থানার পুলিশ বাহিনী। অভিযোগ, গন্ডগোলের মধ্যেই আচমকা গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ হন পুলিশ কনস্টেবল প্রভাত সর্দার। তিনি অনন্তপুর ফাঁড়ির পুলিশ। তাঁর বাঁ কাঁধে গুলি লাগে। জানা গিয়েছে, এক তৃণমূল ছাত্রনেতাকে বাঁচাতে গিয়েই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ৪১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।