Dilip Ghosh On Rahara Blast: ‘অপরাধীরাই তো দলের নেতা হয়ে বসছে, পুলিশের হিম্মত নেই ধরার’, রহড়া বিস্ফোরণ কাণ্ডে তোপ দিলীপের

Dilip Ghosh On Rahara Blast: "পুলিশ কেন হাত গুটিয়ে বসে আছে? অপরাধীরা এখন পার্টির নেতা হয়ে গিয়েছে, পুলিশের হিম্মত নেই। তাদের গায়ে হাত দেওয়া তো দূর, পুলিশ একটা এফআইআর নিতে পারে না।"

Dilip Ghosh On Rahara Blast: 'অপরাধীরাই তো দলের নেতা হয়ে বসছে, পুলিশের হিম্মত নেই ধরার', রহড়া বিস্ফোরণ কাণ্ডে তোপ দিলীপের
দিলীপ ঘোষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 15, 2022 | 9:51 AM

কলকাতা: “অপরাধীরাই তো এখন পার্টির নেতা হয়ে গিয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করবে কীভাবে? পুলিশের হিম্মত নেই ওদের গায়ে হাত দেওয়ার।” রহড়ায় বোমা বিস্ফোরণে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিক্রিয়া বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের। নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে রোজকার মতো রবিবার সকালেও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই রহড়া বিস্ফোরণ কাণ্ডে মুখ খোলেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, “সংবাদমাধ্যমে আমরা দেখি রোজ কোথাও-না-কোথাও গুলি চলছে বা বোমা বিস্ফোরণ হচ্ছে। পুলিশ কেন হাত গুটিয়ে বসে আছে? অপরাধীরা এখন পার্টির নেতা হয়ে গিয়েছে, পুলিশের হিম্মত নেই। তাদের গায়ে হাত দেওয়া তো দূর, পুলিশ একটা এফআইআর নিতে পারে না।”

বগটুইয়ের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “বগটুই কাণ্ডে পার্টির নেতাই সেখানে সবথেকে বড় অপরাধী। মুখ্যমন্ত্রীকে তার নাম সবার সামনে দাঁড়িয়ে বলতে হচ্ছে। কী করে আমরা আশা করতে পারি পুলিশ কিছু করবে?” প্রসঙ্গত, শনিবারই রহড়ায় কৌটো বোমা বিস্ফোরণে বছর সতেরোর এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। শান্তিপূর্ণ এলাকায় এই ধরনের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অস্ত্র ও বোমা উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। বগটুই কাণ্ডের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ধার হওয়া বোমার সংখ্যা রীতিমতো তাক লাগানোর মতো। দিলীপ ঘোষ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলার পর লোক দেখানোর জন্য সামনে নিয়ে আসা হয়েছে কিছু জিনিস। আসল অস্ত্র কোথায় আছে কার কাছে আছে সব জানে পুলিশ। পুলিশ খোঁজ করবে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় সেই অস্ত্র নিয়েই পুলিশ অপরাধীরা এক সঙ্গে আমাদের লোকেদের ওপর হামলা করেছে।”

বউবাজারে বাড়িতে ফাটলের ক্ষেত্রে মেট্রো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সে প্রসঙ্গে এবার মেয়রকেই খোঁচা দেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “মেয়রকে আগে দোষ স্বীকার করতে বলুন। ওঁর নেত্রী মেট্রোর লাইন ঘুরিয়েছেন অপরিকল্পিতভাবে। তার ফলে বারবার ওখানে সমস্যা হচ্ছে। গায়ের জোরে রাজনীতি করতে গিয়ে সমস্ত কিছু উল্টোপাল্টা করে দেবেন সাধারণ মানুষকে তার জন্য ভুগতে হচ্ছে। ওঁদের আগে ক্ষমা চাওয়া উচিত লোকের কাছে। কেন এই ধরনের রাজনীতি করেন?” দিলীপের কটাক্ষ, “কলকাতায় যে জল বার করতে পারে না, বিদ্যুৎ দিতে পারে না তাদের এই ধরনের বড় বড় কথা বলা সাজে না।” প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই , বউবাজারে তিনটি বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্রো রেল। ইতিমধ্যেই চৌরঙ্গির বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেেন কেএমআরসিএল জিএম এ কে নন্দী। ১৬, ১৬/১, ১৯ নম্বর বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে খবর।