Dilip Ghosh attacks Mamata: ‘বাংলায় বলে বাংলার মেয়ে, গোয়ায় বলে গোয়ার মেয়ে’, মমতাকে দিলীপ কটাক্ষ নিয়ে রাজভবনে তৃণমূল

Dilip Ghosh attacks Mamata: “বাংলায় বলেন বাংলার মেয়ে। গোয়ায় গিয়ে বলেন, গোয়ার মেয়ে। বাপ-মায়ের ঠিকানা নেই না কী!” দিলীপের এ মন্তব্য নিয়েই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি।

Dilip Ghosh attacks Mamata: ‘বাংলায় বলে বাংলার মেয়ে, গোয়ায় বলে গোয়ার মেয়ে’, মমতাকে দিলীপ কটাক্ষ নিয়ে রাজভবনে তৃণমূল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 07, 2022 | 5:08 PM

কলকাতা: সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের (CM Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষকে(BJP All India Vice President Dilip Ghosh)। যা নিয়েই উত্তাল বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার রাজভবনে অভিযোগ জানাতে গেল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ঘাসফুল শিবিরের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। রাজভবনের সামনেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানাতে দেখা যায় তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। 

পদ্ম নেতার বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানিয়ে কাকলি বলেন, “রাজ্যপালের কাছে আমরা এসেছিলাম এ প্রসঙ্গে একটি ডেপুটেশন দিতে। আমরা মর্মাহত। বাবা-মায়ের প্রসঙ্গে টেনে দিলীপ ঘোষ যেভাবে আক্রমণ করেছেন তার আমরা তীব্র নিন্দা করছি। ভারতীয় জনতা পার্টির একজন নির্বাচিত সাংসদ হয়ে আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করেছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। যেভাবে অপমান করেছেন তার অবিলম্বে প্রতিকার হওয়া দরকার। আমরা ওনার কঠিন সাজা দাবি করছি। বিভিন্ন বিষয়ে আমরা রাজ্যপালকে টুইট করতে দেখেছি। তাই আমরা তাঁকে স্পষ্ট বলেছি এই ইস্যুতে জনসমক্ষে রাজ্যপালের নিজস্ব মতামত জানানো উচিৎ।”  

এথানেই না থেমে কাকলি আরও বলেন, “বিগত দিনে তিনি মা দুর্গাকেও অপমান করেছিলেন। আজকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা-মা তুলে, তাঁর জন্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন দিলীপ ঘোষ। আমরা তাঁর ধিক্কার জানাই। প্রসঙ্গত, শেষ বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা নিজের মেয়েকে চায় স্লোগানকে সামনে রেখে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছিল তৃণমূল-কংগ্রেস। সেই বাংলার মেয়ে স্লোগানকেই কটাক্ষ করেছেন দিলীপ। দিলীপের কথায়, “বাংলায় বলেন বাংলার মেয়ে। গোয়ায় গিয়ে বলেন, গোয়ার মেয়ে। বাপ-মায়ের ঠিকানা নেই না কী! যেখানে যা ইচ্ছা বলে দেবেন এটা হয় না কী?” যা নিয়েই তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়ে গিয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে।