Duare Ration: কবে থেকে বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছবে, ঘোষণা খাদ্যমন্ত্রীর
মুখ্যমন্ত্রী যেদিন উদ্বোধন করবেন সেদিন ১০০ শতাংশ দোকান থেকেই চালু হয়ে যাবে দুয়ারে রেশন, জানান খাদ্যমন্ত্রী।
কলকাতা: ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যে শুরু হতে চলেছে দুয়ারে রেশনের পাইলট প্রজেক্ট। এদিন থেকে সারা বাংলায় পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে ১৫ শতাংশ দোকানে শুরু হবে দুয়ারে রেশন। এতে সাফল্য এলে তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো রাজ্যজুড়ে পুরোদমে প্রকল্পের পরিষেবা পাবেন সাধারণ মানুষ। শুক্রবার এমনটাই জানালেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ।
রেশন ডিলারদের সঙ্গে শুক্রবার একটি বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। সেখানে দুয়ারে রেশন কী ভাবে পরিকল্পিত পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তা নিয়ে কথাবার্তা হয় বলে খবর। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, ১ সেপ্টেম্বর থেকেই দুয়ারে রেশন শুরু হয়ে যাবে। তবে আপাতত তা পিছিয়ে ১৫ তারিখ করা হয়েছে। রথীন ঘোষ জানান, “মুখ্যমন্ত্রী যেদিন উদ্বোধন করবেন সেদিন ১০০ শতাংশ দোকান থেকেই চালু হয়ে যাবে দুয়ারে রেশন। তবে তার আগে পর্যন্ত পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে তা শুরু হচ্ছে। এই সময় বাংলায় ১৫ শতাংশ দোকান থেকে এই পরিষেবা দেওয়া হবে।”
দুয়ারে রেশন প্রকল্পে বাড়িতে বসে রেশনের জিনিস পাবেন উপভোক্তারা। কিন্তু কী ভাবে এই গোটা প্রক্রিয়া হবে। এতে ওজনে কারচুপির অভিযোগ যদি ওঠে? এ প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “রেশন সামগ্রী বাড়িতে পৌঁছনোর পর নির্দিষ্ট মেশিন দিয়ে ওজন করা হবে। তাতেই কতটা জিনিস আছে তা সামনাসামনি দেখা যাবে। পাশাপাশি EPOS মেশিনের সঙ্গে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ক্রেতার হাতে রশিদও দেওয়া হবে। একই সঙ্গে একটি এসএমএসও যাবে উপভোক্তার কাছে। সেখানে লেখা থাকবে তিনি কতটা সামগ্রী পেলেন।”
নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে গিয়ে বলেছিলেন, “আমি কথা দিয়ে কথা রাখি। আমার মন্ত্রিসভা এলে বাড়ির দুয়ারে রেশন পাবেন মা-বোনেরা। আর কষ্ট করে রেশন দোকানে যেতে হবে না।” সেই কথাই এবার সত্যি হতে চলেছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী। যদিও এই দুয়ারে রেশন নিয়ে ইতিমধ্যেই রেশন ডিলাররা মুখ্যমন্ত্রীকে বেশ কিছু দাবি জানিয়ে রেখেছেন। ভোটের ফল প্রকাশের পর পরই যখন রাজ্যের বাছাই করা কয়েকটি জায়গায় পরীক্ষামূলক ভাবে দুয়ারে রেশন শুরু করার পরিকল্পনা নেয় সরকার, তার আগে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশন চিঠি দেয় মুখ্যমন্ত্রীকে।
বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দিতে বৈদ্যুতিন গাড়ি দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয় রাজ্যের কাছে। এতে বাড়ির দরজায় সহজেই রেশন পৌঁছে দেওয়া যাবে। বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দিতে হলে তা প্যাকেটবন্দি করতে হবে। তা না হলে মুশকিল। খাদ্যশস্য প্যাকেটজাত করার জন্য প্রতি কুইন্টাল পিছু ৪০ টাকা দাবি করে তারা। দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতি কুইন্টাল পিছু ২০০ টাকা অতিরিক্ত কমিশনও দাবি করা হয় ডিলার সংগঠনের পক্ষ থেকে। সংগঠনের কর্তারা আবেদন জানান, যাঁরা রেশন দোকানে এসে রেশন নিতে চান, তাঁদের জন্য মাসের প্রথমে ১ থেকে ১৫ তারিখ, এবং যাঁরা বাড়িতে থেকে রেশন নেবেন তাঁদের জন্য মাসের বাকি সময়টা বেঁধে দেওয়া হোক। ডিলার সংগঠনের দাবি ছিল, সমতল এলাকায় বাড়ি বাড়ি রেশন দেওয়া সম্ভব হলেও পাহাড়ে তা সেটা কোনও ভাবেই সম্ভব হবে না।
এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী এদিন জানান, “পাহাড়ি এলাকায় আমরা ১৫ শতাংশ দিয়ে যখন শুরু করছি, তখনই দেখে নেব কী কী সমস্যা হচ্ছে। তার পরে সমাধান করব।” অন্যদিকে গাড়ির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যাঁরা রেশন ডিলার রয়েছেন, তাঁরা নিজেরা গাড়ি পছন্দ করে কিনতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সরকার গাড়ির ১ লক্ষ টাকা বহন করবে। আগেই এ নিয়ে ঘোষণা করা হয়েছে।” সম্প্রতি খাদ্য ভবনে এক বৈঠক হয়। সেখানে গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থার প্রতিনিধিরাও ছিলেন। সেখানেই স্থির হয় গাড়ি কিনতে যা খরচ হবে, ১ লক্ষ টাকা সরকার দেবে। আরও পড়ুন: নথি যাচাই না করেই ১২ জন শিক্ষক নিয়োগ! প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন আদালতে