ED: এসসিসি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নামতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট
SSC: ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এসএসসি নিয়োগে আর্থিক অনিয়ম নিয়ে মামলাকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি-র অফিসাররা। মামলাকারীদের কাছ থেকে তাঁরা বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়েছেন। যদিও এ নিয়ে কাউকে সমন এখনও পাঠায়নি ইডি।
কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ মামলায় আর্থিক লেনদেনর বিষয়েও তদন্ত হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মামলার তদন্তে নামতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল যাদের বিরুদ্ধে, তাঁদের সঙ্গে কমিশনের কর্তাদে আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কি না। হলেও তা কী ভাবে হয়েছিল। কমিশনের কর্তা ছাড়াও আর কারা এই আর্থিক লেনদেনে জড়িত ছিল, তা তদন্ত করে দেখবেন ইডি-র গোয়েন্দারা। প্রসঙ্গত, বেআইনি ভাবে চাকরি প্রাপ্ত প্রচুর টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে বার বার। তার পরই কলকাতা হাইকোর্ট আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছিল। যদিও আদালত সরাসরি ইডি-কে তদন্তের নির্দেশ দেয়নি। কিন্তু ইডি সূত্রে খবর, মামলাকারী এবং মামলাকারী আইনজীবীদের ফোন করে বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়েছেন ইডি-র তদন্তকারী অফিসাররা।
রাজ্যের মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করেছিলেন ববিতা সরকার। সেই মামলায় অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে রবখাস্ত করে কলকাতা হাইকোর্ট। নবম-দশম শ্রেণিতে এসএসসি-র নিয়োগ নিয়ে অপর একটি মামলা করেন আব্দুল গনি আনসারি। সেই মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আদালত। ইতিমধ্যেই এই মামলা গুলির তদন্তে নেমেছে সিবিআই। সিবিআইয়ের পাশাপাশি ইডি যদি তদন্তে নামেস তাহলে অস্বস্তি আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এসএসসি নিয়োগে আর্থিক অনিয়ম নিয়ে মামলাকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি-র অফিসাররা। মামলাকারীদের কাছ থেকে তাঁরা বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়েছেন। যদিও এ নিয়ে কাউকে সমন এখনও পাঠায়নি ইডি।
নবম-দশম শ্রেণিতে আব্দুল গনি আনসারির মামলায় পার্থকে আগেই সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। ববিতা সরকার নামে এক চাকরিপ্রার্থীর মামলায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। ইডি সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে মূলত এই দুই মামলাতেই নজর আগে নজর দিয়েছেন তদন্তকারীরা। আব্দুল ও ববিতার সঙ্গে বুধবারই যোগাযোগ করা হচ্ছে। তাঁদের তদন্তে সহযোগিতা করতে বলা হবে। এই মামলার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন তথ্য ও নথি তাঁদের কাছে চাওয়া হবে। তদন্তকারীদের দাবি, নিয়োগে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে নথি সংগ্রহ এবং সাক্ষ্যপ্রমাণ জোগাড়ের কাজ করা হবে শীঘ্র। এই প্রসঙ্গে মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘‘চাকরি দুর্নীতির ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন হয়েছে। এই লেনদেনে যাঁরা যাঁরা যুক্ত তাঁদের প্রত্যেককে শাস্তি পেতে হবে। এবং বেআইনি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে।’’