Bratya Basu: “বিরোধীরা চাকরি হোক চায় না, নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার জন্যই অন্দোলন?”, প্রশ্ন ব্রাত্যর

Bratya Basu: ইতিমধ্যেই আবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের দাবিকে অন্যায্য বলেছেন। তাঁর সাফ দাবি আইন মেনেই নিয়োগ হবে।

Bratya Basu: “বিরোধীরা চাকরি হোক চায় না, নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার জন্যই অন্দোলন?”, প্রশ্ন ব্রাত্যর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 19, 2022 | 10:20 PM

কলকাতা: কাটতে চলেছে ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময়। চাকরির দাবিতে সল্টলেকে (Salt Lake) আমরণ অনশনে বসেছেন ২০১৪ সালের টেট প্রার্থীরা (TET Agitation)। যা নিয়ে শিক্ষা মহলের পাশাপাশি শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। ইতিমধ্যেই আবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল (Gautam Pal) আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের দাবিকে অন্যায্য বলেছেন। তাঁর সাফ দাবি আইন মেনেই নিয়োগ হবে। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীদের অনেকেরই বয়স পেরিয়ে গিয়েছে চল্লিশ। তাই তাঁরা তাঁদের দাবিতে অনড় বলে মত তাঁর। এবার কার্যত একই সুরে কথা বলতে দেখা গেল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে (Bratya Basu)। 

এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, “আন্দোলনকারীদের তো প্রথমদিন বলেছি আপনারা আন্দোলন প্রত্য়াহার করুন। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করুন। আপনার যদি মেধা এবং যোগ্যতা থাকে তবে আপনি নিশ্চয় চাকরি পাবেন। চাকরি হোক ন্যায়সঙ্গতভাবে, নৈতিকভাবে, স্বচ্ছতার ভিত্তিতে, মেধার ভিত্তিতে। আবেগ দিয়ে কোথাও চাকরি হয় না।” একইসঙ্গে আন্দোলনের পিছনে রাজনৈতিক ‘ইন্ধন’ দেখছেন ব্রাত্য। তাঁর প্রশ্ন, “নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ব্যহত করার জন্যই কী এসব করা হচ্ছে?” ব্রাত্যর দাবি, “একদল বিরোধীরা তো সত্যিই চান না যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরি দিক ছেলেমেয়েদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগ করুন এটাও চান না।”

অন্যদিকে এর আগে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের প্রতি ‘সহমর্মিতা’ জানিয়ে গৌতম বলেন, “আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে। তাঁদের প্রতি আমার যথেষ্ট সহমর্মিতা রয়েছে। আমি তাঁদের কাছে অনুরোধ করছি তাঁরা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিক। কেউ যদি বলেন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্যায় হয়েছে তাই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেব না, আমি অন্য পদ্ধতি অবলম্বন করব। করতেই পারেন। কিন্তু, নিয়োগ প্রক্রিয়া দেরি হলে সকলের বয়স বেড়ে যাবে। আমি অনুরোধ করছি সবাই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিন। আমি খুব তাড়াতাড়ি তাঁদের অ্যাপেন্টমেন্ট লেটার দেব। পরবর্তী বছরেও ২ বার নিয়োগ করব। আমি সরকার এবং মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। শিক্ষা দফতর অত্যন্ত সদর্থক ভূমিকা নিচ্ছে।”