Firhad on Partha: ‘আমি লজ্জিত, এই পার্থকে চিনি না’, ইডি-র টাকা উদ্ধারের পরই ভোলবদল ফিরহাদের
Firhad Hakim: পার্থের প্রসঙ্গ ছাড়াও ১৯ জন তৃণমূল নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধির প্রসঙ্গ উঠেছিল সাংবাদিক সম্মেলনে। আদালত সেই মামলায় ইডি-কে যুক্ত করার পর তাঁদের প্রতি যে আক্রমণ ধেয়ে এসেছে তাতে বিরক্ত ফিরহাদ।
কলকাতা: এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট টাকা উদ্ধার করার পর থেকেই যত দিন গিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তত দূরত্ব বাড়িয়েছে তৃণমূল। পার্থের বান্ধবী অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার সঙ্গে দলের যে কোনও যোগ নেই তা স্পষ্ট করেছিলেন তৃণমূলের নেতারা। এ বার নিজের প্রাক্তন সহকর্মীর প্রতি বিস্ময় প্রকাশ করলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বুধবার বিধানসভায় একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন তৃণমূলের প্রথম সারির কয়েক জন নেতা। সেখানেই পার্থের প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেছেন, “পার্থ যা করেছে, তাতে আমি লজ্জিত। আমি এই পার্থকে চিনি না।”
ফিরহাদের এই মন্তব্য যে পার্থের প্রতি দলের মনোভাবেরই প্রতিফলন বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিরোধী শিবির বিঁধেছিল পার্থকে। যদিও সে সময় পার্থের পাশে দাঁড়িয়েছিল তৃণমূল। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, “ব্রাত্য বসুর মন্ত্রিত্বকালে এই দুর্নীতি হয়নি।” এর পরই ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, “পার্থ মন্ত্রিসভার অংশ। তাই কোনও কিছু হলে তাঁর দায় আমারও।” এই বক্তব্যের সময় পার্থ গ্রেফতারও হননি এবং তাঁর বান্ধবীর ফ্ল্যাট থেকে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধারও হয়নি। তা উদ্ধারের পরই পার্থ সম্পর্কে মনোভাব বদলে গেল ফিরহাদের।
পার্থের প্রসঙ্গ ছাড়াও ১৯ জন তৃণমূল নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধির প্রসঙ্গ উঠেছিল সাংবাদিক সম্মেলনে। আদালত সেই মামলায় ইডি-কে যুক্ত করার পর তাঁদের প্রতি যে আক্রমণ ধেয়ে এসেছে তাতে বিরক্ত ফিরহাদ। তাঁর দাবি, চক্রান্ত করে এ ধরনের প্রচার চালানো হচ্ছে। এ নিয়ে তিনি বলেছেন, “তৃণমূল করি বলি এই না, যে আমরা সবাই চোর। মানুষের জন্য কাজ করার পরও এ সব শুনতে হচ্ছে। সবটাই চক্রান্ত। অপমান করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে করা হচ্ছে। আমরা আয়কর দিই। যদি কোনও গোলমাল থাকে আয়কর দফতর বলবে।”
এর পরই নিয়ের আয়ের উৎসের ব্যাপারে তিনি বলেছেন, “ছোটবেলা থেকেই আমি ব্যবসা করি। আয় তো বাড়তেই পারে। রোজগার করা কি দোষের? আমি সূর্যকান্ত মিশ্রর কাছে জানতে চাই, জ্যোতি বসুর আগে চন্দন বসুর নাম কে জানত? অমিত শাহের আগে তাঁর ছেলের নাম কে জানত? আমি মনে করি এটা পলিটিক্যাল ইন্টারেস্ট পিল।”