Firhad Hakim: ‘সুদীপদাকেও ডেকে নিও’, মন কষাকষি এড়াতেই কি ফিরহাদের এমন ‘অনুরোধ’?
Firhad Hakim: আমন্ত্রণ পাওয়ার পরই উদ্যোক্তাদের ফিরহাদ মনে করিয়ে দিলেন, ওই অনুষ্ঠানে উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও যেন ডাকতে ভুল না হয়।
প্র দী প্ত কা ন্তি ঘো ষ
জৌলুসে ভরা কলকাতার দুর্গাপুজো। বড় বড় প্যান্ডেল, দেবী প্রতিমা, আলোকসজ্জা… চারিদিকে থিম পুজোর ভিড়। হাতে আর বেশি সময় বাকি নেই। মাস খানেক পরেই শারদোৎসবে মাতবে গোটা বাংলা। আর সেই শারদোৎসবের সূচনা খুঁটি পুজোর সময় থেকেই হয়ে যায় বললে খুব একটা ভুল হবে না। কলেজ স্কোয়ারের খুঁটি পুজো রয়েছে রথযাত্রার দিন। অর্থাৎ, পয়লা জুলাই। আর সেই খুঁটি পুজোয় আমন্ত্রণ পেয়েছেন শহরের মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম।
তবে আমন্ত্রণ পাওয়ার পরই উদ্যোক্তাদের ফিরহাদ মনে করিয়ে দিলেন, ওই অনুষ্ঠানে উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও যেন ডাকতে ভুল না হয়। এলাকায় সামাজিক অনুষ্ঠান হবে, আর সেখানে স্থানীয় সাংসদ, বিধায়করা ডাকা হবে না, তা যেন না হয়। ফিরহাদের মতে, পুজোর উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যান। সেখানে সেইসময় থাকেন স্থানীয় সাংসদও। আর খুঁটিপুজোয় তাঁর না থাকাটা শোভনীয় হবে না। তাছাড়া এই সব হলে, উদ্বোধনের সময় সেই মন কষাকষির খবরও মুখ্যমন্ত্রীর কানে পৌঁছতে পারে বলে ঘনিষ্ঠ মহলে ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্য মন্ত্রিসভার এই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
কলেজ স্কোয়ারের পুজো সাধারণ ভাবে রাজ্যপাল উদ্বোধন করতেন। তবে গতবার সেই প্রথায় ব্যতিক্রম হয়। প্রথমবারের জন্য একুশের পুজোতে মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করেছিলেন। এবার কলেজ স্কোয়ারের পুজো ৭৫ বছরে পা দেবে। আর এবারও পুজোর উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়েই করাতে চান উদ্যোক্তারা। কর্তৃপক্ষের তরফে খুঁটি পুজোর আমন্ত্রণ জানাতে ফিরহাদের কাছে যান উত্তর কলকাতার শাসক দলের নেতা তথা কলেজ স্কোয়ার পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা চিনু হাজরা। পুজো কমিটির সভাপতি সাংসদ সৌগত রায়। ৭৫ বছরে পুজো, সে কারণে একটি আলাদা উদযাপন কমিটি করা হয়েছে। সেখানে সদস্য হিসাবে রয়েছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বিধায়ক তাপস রায়রাও।
চিনু বিধানসভায় এসে ফিরহাদকে আমন্ত্রণের জানানোর সময়ে সেখানে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় বাবুও। আর সুদীপকে খুঁটি পুজোয় আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে ফিরহাদকে বক্তব্যকে সমর্থন করেন তিনিও। বস্তুত, কিছুদিন আগে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নতুন জেলা কমিটিতে বদল করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। উত্তর কলকাতার সভাপতি পদে দায়িত্ব পান সুদীপ। তাঁর আগে এই দায়িত্বে ছিলেন তাপস রায়। নজরুল মঞ্চের দলীয় সভা থেকে মমতা জানিয়েছিলেন, এটি সুদীপ বাবুই চাইছিলেন। তবে এ নিয়ে কোনওদিনই তাঁর ব্যক্তিগত অনুভূতির কথা প্রকাশ্যে বলেননি তাপস রায়। তাই পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, তার রেশ যাতে খুঁটিপুজোয় না পড়ে সেই বার্তাই দিয়েছেন ফিরহাদ। অন্তত এমনই মত রাজনীতির কারবারিদের।
এদিকে রথযাত্রার দিনে চেতলায় নিজের পুজোরও খুঁটিপুজো রয়েছে ফিরহাদের। ফলে ওইদিনই কলেজ স্কোয়ারের খুঁটিপুজোয় থাকা সম্ভব কী না তা নিয়েও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অবশ্য জানাননি ফিরহাদ।