Cyclone Asani: ঘূর্ণিঝড় নয়, বরং বৃষ্টি কতটা হবে… সেই নিয়েই চিন্তায় মেয়র

Firhad Hakim: মেয়র বলেন, "আমি এখানে ঝড়ের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত কতটা হচ্ছে, তা নিয়ে ভাবনায় রয়েছি। বৃষ্টি হবে। জল জমবে। কিন্তু সেই জল তিন থেকে চার ঘণ্টার বেশি দাঁড়াবে না।"

Cyclone Asani: ঘূর্ণিঝড় নয়, বরং বৃষ্টি কতটা হবে... সেই নিয়েই চিন্তায় মেয়র
ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা কলকাতা পুরনিগমের।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 09, 2022 | 9:24 PM

কলকাতা : ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাব সরাসরি কলকাতায় পড়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। হাওয়া অফিস থেকে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, জাওয়াদের মতো সাগরেই শক্তি খোওয়াতে পারে অশনি। তবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভাল বৃষ্টি হতে পারে এর জেরে। আর তাই সজাগ দৃষ্টি রাখছেন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। আমফানের থেকে শিক্ষা নিয়ে আগেভাগে তৈরি থাকছে পুরনিগম। অশনি ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতির ওপর সকাল থেকেই নজর রেখেছেন মেয়র। আবহাওয়া দফতরের কর্তাদের সঙ্গেও কথা বলছেন। তবে ঝড়ের থেকেও বৃষ্টি নিয়েই বেশি উদ্বিগ্ন ফিরহাদ হাকিম। বলেন, “আমি এখানে ঝড়ের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত কতটা হচ্ছে, তা নিয়ে ভাবনায় রয়েছি। বৃষ্টি হবে। জল জমবে। কিন্তু সেই জল তিন থেকে চার ঘণ্টার বেশি দাঁড়াবে না।”

এর পাশাপাশি কলকাতা পুরনিগমের অন্তর্গত সবক’টি পাম্পিং স্টেশনের পাম্পগুলি ঠিক মতো কাজ করছে কি না তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। ফিরহাদ জানিয়েছেন, “সবক’টি পাম্প সক্রিয় রয়েছে। কলকাতা পুরনিগমের সদর দফতর এবং বরো অফিসগুলিতে পৃথক পৃথক গ্যাং তৈরি করা হয়েছে। জরুরি পরিষেবা সঙ্গে যুক্ত সবকটি বিভাগকে ইতিমধ্যেই তাদের কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।” আজ কলকাতা পুরনিগমের পুর কমিশনার বিনোদ কুমারের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলে নিখুঁত পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শহরের মহানাগরিক জানিয়েছেন, “আমরা প্রস্তুত। আমরা সব থেকে বেশি চিন্তিত থাকি, বর্ষার জমা জলে বাতিস্তম্ভ থেকে খুলে থাকা তার নিয়ে। আমি আমার আলো বিভাগের ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছি সবক’টি ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।”

কোনও তার যেন বাতিস্তম্ভ থেকে খুলে বাইরে না থাকে, তা নিশ্চিত করাটাই এখন চ্যালেঞ্জ পুরনিগমের কাছে। ইতিমধ্যেই সিইএসসি এবং পূর্ত দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং বাতিস্তম্ভগুলি থেকে যাতে তার ঝুলে না থাকে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। কোনও মৃত্যুর ঘটনা বা বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা যেন না ঘটে, তার দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছে পুরনিগম।

তবে বৃষ্টি হলে শহরে যে জল জমবে না, এমন কথা গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারছেন না খোদ শহরের মহানাগরিকও। তিনি বলছেন, তিন-চার ঘণ্টার বেশি জল জমে থাকবে না। আর এই জল জমার জন্যও শহরবাসীদের একাংশকেই দায়ী করলেন তিনি। মেয়র বলেন,”আমাদের শহরের মানুষ এখনও অসচেতন। যে কারণে প্লাস্টিক ব্যবহার বাড়ছে। সেই প্লাস্টিক যত্রতত্র ফেলে দেওয়া হচ্ছে। রাস্তার গালিপিট গুলি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে প্লাস্টিকের কারণে। গালিপিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জল বেরোতে পারছিনা। ফলে শহরে জল নিষ্কাশিত হতে অনেক সময় নিয়ে নিচ্ছে। আমরা আবারও প্লাস্টিক নিয়ে মানুষকে সচেতন করব। মানুষকে বোঝাব প্লাস্টিক এভাবে যত্রতত্র ফেললে কলকাতা থেকে জল বেরোতে পারবে না। জল আবার দাঁড়িয়ে যাবে। আপনাদের সমস্যা হবে।”