Firing in Park Circus: কী কারণে মানসিক অবসাদ? একসঙ্গে ৪০ রাউন্ড গুলি কেন ছিল পার্ক সার্কাসের পুলিশকর্মীর কাছে?
Firing in Park Circus: লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, দূতাবাসের পাশে যেহেতু হাইসিকিউরিটি জোনে ওই জওয়ানের দায়িত্ব ছিল, তাই তাঁর কাছে ৪০ রাউন্ড গুলি দেওয়া হয়েছিল।
কলকাতা: ভরদুপুরে পার্স সার্কাসে (Park Circus) এলোপাথারি গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যেই। কাঠগড়ায় পুলিশকর্মী নাম চোডুপ লেপচা(২৮)। বাড়ি কালিম্পংয়ে (Kalimpong)। তাঁর গুলিতেই প্রাণ গিয়েছে রিমা সিং নামে এক পথচারীর। ঘটনায় জখম হয়েছেন বশির আলম এবং মহম্মদ সরফরাজ নামে আরও দুই জন। এদিকে কেন আচমকা এ কাণ্ড ঘটালেন ওই পুলিশ কর্মী? এ প্রশ্নেই উত্তর খুঁজছেন সকলে। বছর খানেক আগে চাকরি পেলেও শুরু থেকেই ছিলেন চুপচাপ। কর্মস্থলে এসেও বিশেষ কথা বলতেন না কারও সঙ্গেই। থাকতেন নিজেকে নিয়েই। এমনকী অতীতে মানসিক ভাবে বিকারগ্রস্ত ছিলেন বলেও জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। আর সেই কারণেই ঘটিয়ে থাকতে পারেন এ ঘটনা। এমনটাই ধারণা পুলিশের।
ওই পুলিশকর্মী বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। এদিকে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, দূতাবাসের পাশে যেহেতু হাইসিকিউরিটি জোনে ওই জওয়ানের দায়িত্ব ছিল, তাই তাঁর কাছে ৪০ রাউন্ড গুলি দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকেই ৯ থেকে ১০ রাউন্ড গুলি চালিয়েছেন তিনি। তবে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, গুলি চালানোর সময় অপ্রকৃতস্থ দেখায় ওই পুলিশকর্মীকে। যখন তিনি গুলি চালানোর জন্য তৈরি হচ্ছিলেন তখন বারবার তাঁর বন্দুক থেকে বারবার খুলে পড়ে যায় ম্যাগাজিন। একজন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত পুলিশ কর্মীর এমনটা হওয়ার কথা নয় বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
তবে কী কর্মক্ষেত্রে কোনও সমস্যা, পারিবারিক অবসাদ বা সম্পর্কের জটিলতার কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই পুলিশ কর্মী। যদিও এ বিষয়ে এখনও সুস্পষ্ট কোনও তথ্যই পাওয়া যায়নি। পুলিশের দাবি, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পরেই এ বিষয়ে আরও বিশদে জানা সম্ভব হবে। এদিকে শুক্রবার কাজে যোগ দেওয়ার আগে ১০ দিন ছুটি কাটিয়ে এসেছিলেন চোডুপ। তারপর শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ কাজে যোগ দেন তিনি। ছুটিতে থাকার সময় তিনি কোনও ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন কিনা সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। এদিকে তাঁর বাবাও পুলিশে কর্মরত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। ২০১৭ সালে শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারা যান তিনি। বর্তমানে কালিম্পংয়ের বাড়িতে তাঁর দাদা-বৌদি রয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে চোডুপের বিয়ে হয়নি।