
বারাসত: সচেতনতার অভাব, সদ্য শুরু হওয়া ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন প্রসঙ্গে এমনটাই বললেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দেবাশিস সেন। বৃহস্পতিবার বারাসতে ওয়েলফিনিটি এন্ড স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের আয়োজিত একটি সভায় যোগ দিয়ে তাঁর মুখে শোনা গেল এই বার্তা। একটা ফাঁক থেকে যাচ্ছে বলেই মত প্রাক্তন সিইও-র।
সম্প্রতি, বাংলা-সহ দেশের ১২টি রাজ্যে ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনের ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারপর থেকেই সরগরম বাংলার আবহ। একদিকে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ, অন্যদিকে বাড়ছে আতঙ্ক। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় টেনে এনে নিবিড় পরিমার্জনকে একাধিক মৃত্যুর জন্য দায়ি করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এসআইআর নিয়ে আতঙ্ক যে সত্যিই তৈরি হয়েছে তা মেনে নিচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দেবাশিস সেনও।
এদিন তিনি বলেন, ‘মানুষ যে আতঙ্কিত হয়েছেন, তাতে কোনও সন্দেহ নয়। একটা উদ্বেগজনক পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। আমার মনে হয়, এর প্রধান কারণ নির্বাচন কমিশন এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে এসআইআর বোঝার বিষয়ে একটা ফাঁক থেকে গিয়েছে। মানুষকে বোঝানো দরকার। সচেতনতা তৈরি করা দরকার। গতকাল অবধিও একটা ওয়েবসাইট যান্ত্রিক কারণে খুলছিল না। আমার ধারণা এগুলোও সারিয়ে নেওয়া হবে।’
তবে যে কথা কমিশন বলেছিল, তা আবার মনে করিয়ে দিলেন দেবাশিস বাবু। ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন নাগরিক স্বার্থেই পালন করা হয় বলে দাবি তাঁর। প্রাক্তন সিইও-র কথায়, ‘নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরির প্রয়াসে দুই পক্ষেরই সহযোগী হওয়া প্রয়োজন। ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধি আইনের ভিত্তিতে প্রতি ১০ বছর অন্তর ভোটার তালিকা সংশোধন করা প্রয়োজন।’