Health Department: মুখ্যমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশের পরই সব সরকারি হাসপাতালে গেল স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা

Health Department: স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, এস‌এসকেএমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল থেকে হিটারের যন্ত্রাংশ উদ্ধার হয়েছে। সেই কারণেই এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।

Health Department: মুখ্যমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশের পরই সব সরকারি হাসপাতালে গেল স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা
এসএসকেএমের আগুন (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 22, 2022 | 4:47 PM

কলকাতা: সম্প্রতি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আতঙ্ক ছড়ায় শহরের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমে (SSKM)। সিটি স্ক্য়ানের ঘর থেকেই আগুনের সূত্রপাত বলে জানা যায়। সোমবার স্বাস্থ্য দফতরের পর্যালোচনা বৈঠকে সেই অগ্নিকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এরপর মঙ্গলবারই এই ধরনের ঘটনা এড়াতে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালকে বিশেষ নির্দেশিকা দেওয়া হল। রান্নাঘর ও ক্যান্টিন ছাড়া আর কোথাও যাতে রান্না না করা হয়, সে ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, নির্দেশিকা কার্যকর করার জন্য স্বাস্থ্য কর্তাদের উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রান্নাঘর বা ক্যান্টিন ছাড়া কোথাও চা-ও বানানো যাবে না, কোনওভাবে আগুন জ্বালানো যাবে না, ইলেকট্রিসিটিতে চলে এমন কোনও হিটার ব্যবহার করে খাবার বানানো যাবে না। এমএসভিপি, সিএমওএইচ, হাসপাতাল সুপারের মতো কর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা মাঝে মধ্যেই উপস্থিত হন হাসপাতালে। নির্দেশ সঠিকভাবে মেনে চলা হচ্ছে কি না, তা যেন খতিয়ে দেখা হয়। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, এস‌এসকেএমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল থেকে হিটারের যন্ত্রাংশ উদ্ধার হয়েছে। সেই কারণেই এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার নবান্নে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এসএসকেএম প্রসঙ্গে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম মমতাকে জানান, এসি থেকে আগুন লেগেছিল। আর এই শুনেই কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাল্টা প্রশ্ন করেন, “শীতকালে এসি কেন?” ফিরহাদ হাকিম জানান, ওই ঘরে প্রয়োজন না থাকলেও চারটি শীতাতপ যন্ত্র‌ই চলছিল। প্রয়োজন না থাকলে এসি বন্ধ রাখার কথা বলেন মেয়র। সেই সূত্রে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শীতকালে এসি চলবে কেন? আমরা তো ঘরেও চালাই না। আইসিইউ-সিসিইউতে এসি সর্বদা প্রয়োজন। কিন্তু শীতে হাসপাতালের অন্যত্র এসি-র কী প্রয়োজন?” সেই প্রশ্ন তুলে বিস্ময় প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, সেদিনের আগুনে কোনও বড়সড় বিপদ হয়নি ঠিকই, তবে, রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।