DA Case in Supreme Court: নথি পেশ করেনি দুই পক্ষ, শুনানি পিছল DA মামলার

DA Case in Supreme Court: চলতি বছরের মে মাসে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দিতে হবে।

DA Case in Supreme Court: নথি পেশ করেনি দুই পক্ষ, শুনানি পিছল DA মামলার
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 28, 2022 | 4:48 PM

নয়া দিল্লি : আইনি জটিলতায় পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি। আজ, সোমবার ডিএ সংক্রান্ত আদালত অবমাননার মামলা ছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। কিন্তু রাজ্য সরকারি সংগঠন ও রাজ্য সরকার (State Government) কোনও পক্ষ নথি পেশ করতে পারেনি সুপ্রিম কোর্টে। আগামী সোমবার অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও বিচারপতি ঋষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি ছিল এদিন। রাজ্য সরকারি কর্মীরা বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেওয়ার দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেখান থেকেই এই মামলার সূত্রপাত।

রাজ্যের পক্ষে এই মামলা লড়ছেন আইনজীবী মুকুল রোহাতগি। রাজ্য সরকারি কর্মীদের পক্ষে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন। কিন্তু যা নথি প্রয়োজন ছিল, তা সামনে আসেনি। আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্টে বিস্তারিত শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে। কর্মচারী সংগঠনের তরফে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়েছে, ৩০ নভেম্বর হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা আছে, কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলায় তারা কোনও পদক্ষেপ করবে না।

চলতি বছরের মে মাসে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দিতে হবে। হাইকোর্টে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চের তরফেই বলা হয়েছিল, মহার্ঘ ভাতা সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য। সেই হিসেবে অগস্ট মাসেই শেষ হয়েছে সেই মেয়াদ। কিন্তু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও বকেয়া টাকা না পাওয়ায় ফের আদালতের দ্বারস্থ হয় সরকারি কর্মী সংগঠনগুলি। বকেয়া টাকা না দিয়ে আদালত অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। হাইকোর্টে মামলা হলে, সেই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সেই মামলারই শুনানি হওয়ার কথা ছিল সোমবার।

যদিও বকেয়া টাকার কথা অস্বীকার করে রাজ্য সরকার। রাজ্যের দাবি, টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি মানবিকভাবে কর্মীদের কথা ভাবছেন বলেও দাবি করেছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।