Tapan Dutta murder case: তপন দত্ত খুনে বিশেষ সিবিআই আদালতে বিচার, সিআইডিকে সব নথি সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
Tapan Dutta murder case: দীর্ঘদিন ধরে তপন দত্ত খুনের সুবিচার চেয়ে লড়াই করছেন তাঁর স্ত্রী। প্রাথমিকভাবে সিআইডি এই খুনের তদন্ত করেছিল।
কলকাতা : প্রায় ১১ বছর পর তপন দত্ত খুনের মামলায় সিবিআই তদন্ত! এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১১ সালে খুন হন হাওড়ার বালির তপন দত্ত। পরিবারের অভিযোগে উঠে আসে তৃণমূল নেতা অরূপ রায়ের নামও। প্রাথমিক ভাবে এই মামলার তদন্ত করেছিল সিআইডি। কিন্তু পরে সিআইডি-র চার্জশিট থেকে বাদ পড়ে অরূপ রায়-সহ বেশ কয়েকজনের নাম। এরপরই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিল তপন দত্তের পরিবার। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সেই মামলায় নির্দেশ দিলেন, যাতে বিচার প্রক্রিয়া সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এর পর থেকে বিশেষ সিবিআই আদালতে তপন দত্ত খুনের মামলার বিচার-পর্ব চলবে।
বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, সিআইডি-কে সব নথিপত্র সিবিআই-এর হাতে তুলে দিতে হবে। সিবিআই যদি মনে করে তদন্তের স্বার্থে আরও কিছু প্রয়োজন, তাহলে তদন্ত করতে পারে তারা।
২০১১ সালের ৬ মে খুন হন তপন দত্ত। ঘটনায় তৃণমূলের স্থানীয় নেতা কর্মী-সহ মোট ১৩ জনের নাম উঠে আসে অভিযুক্তের তালিকায়। নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে সেই মামলা। তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত সুবিচারের আশায় অনেক হাল ছাড়েননি। তাঁর আইনজীবী জানান, তথ্য প্রমাণের অভাবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তরা শাস্তি পায়নি।
এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে সিআইডি প্রাথমিকভাবে তদন্তভার গ্রহণ করেছিল। সিআইডি তদন্তে জানা যায়, জলাজমি ভরাটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন বলেই তপন দত্ত খুন হন। ২০১১ সাল সিআইডি মামলার চার্জশিট পেশ করে।
এ দিন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্য়ায় জানান, এই নির্দেশে অন্তত তদন্ত সঠিক ভাবে হবে বলে আশা রয়েছে তাঁদের। সুবিচার পেতে সুবিধা হবে বলেও মনে করছেন তিনি। তিনি উল্লেখ করেন, অরূপ রায় সহ অনেকের নাম ছিল এই মামলায়। কিন্তু প্রাথমিক চার্জশিটে অরূপ রায়ের নাম থাকলেও সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে সেই নাম বাদ যায়। আইনজীবী প্রশ্ন তুলেছেন, শুধুমাত্র রাজ্যের মন্ত্রী বলেই কি চার্জশিট থেকে নাম বাদ দেওয়া হল? তিনি মনে করেন অন্তত তদন্ত হওয়া দরকার। তারপর নির্দোষ প্রমাণিত হলে অব্যাহতি দেওয়ায় কোনও অসুবিধা নেই।