Part Time Teacher: ‘কার সুপারিশে চাকরি পেয়েছিলেন…বিধায়কের?’, আদালতে শিক্ষককে ভর্ৎসনা বিচারপতির
Part Time Teacher: দীর্ঘদিন ধরে পার্ট টাইম শিক্ষক হিসেবে কাজ করার পর তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর মামলা করে ওই শিক্ষক।
কলকাতা: প্রায় প্রতিদিন সামনে আসছে রাজ্যের নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও না কোনও মামলা। বিশেষত শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে একাধিক ক্ষেত্রে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের পর দুর্নীতির অভিযোগ থেকে রেহাই পাচ্ছে না প্রাইমারিও। তবে এবার এক শিক্ষকের করা মামলায় মামলাকারীকেই পাল্টা তোপ আদালতের। খারিজও করে দেওয়া হয়েছে ওই শিক্ষকের করা মামলা। তাঁর চাকরির জন্য কে সুপারিশ করেছিলেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি।
নদিয়ার এক পার্ট – টাইম শিক্ষকের করা মামলার শুনানিতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রশ্ন তোলেন , ‘কার সুপারিশে চাকরি পেয়েছিলেন? স্থানীয় বিধায়ক?’ ৯ বছর ধরে অস্থায়ী শিক্ষক হিসেবে কাজ করাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘আপনাদের মত লোকের জন্য ৯ বছর স্থায়ী পদে শিক্ষক নিয়োগ করা যায়নি। আপনি তো পদ আটকে রেখেছিলেন।’ শিক্ষককে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি বলেন, ‘এটা কি মগের মুলুক?’ এই বলে শিক্ষকের করা মামলা খারিজ করে দেয় আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চ।
জানা গিয়েছে, ১৯৯৮ সালের মে মাস থেকে ২০০৭ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত নদিয়ার গয়েশপুর উচ্চ বিদ্যালয় বাংলা বিষয়ের অস্থায়ী শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন নাসিরউদ্দিন শেখ। পরে তাঁকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই মৌখিক ভাবে তাঁকে বরখাস্ত করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর, ২০১২ সালে আদালতের দ্বারস্থ হন নাসিরউদ্দিন। কেন মৌখিকভাবে বরখাস্ত করা হল? সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
বুধবার শুনানিতে রাজ্য জানায় যে, এই শিক্ষক স্থায়ী নন। তাঁকে নিয়োগ করার জন্য কোনও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। পরিচালন কমিটি তাঁকে নিযুক্ত করেছে। আর সেখানেই বিচারপতির প্রশ্ন, পরিচালন কমিটি কার সুপারিশে নিয়োগ করেছিলেন ওই শিক্ষককে। শিক্ষকের মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ায় স্বস্তি পেয়েছে স্কুলের পরিচালন কমিটি। উল্লেখ্য, এই অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও নিয়োগপত্র দেওয়া হয় না। কারও সুপারিশে নিয়োগ করে পরিচালন কমিটি।