Post Poll Violence: ৩ থেকে বেড়ে সদস্য কেন ১১ জন? মানবাধিকার কমিশনের কাছে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

Post Poll Violence: ঘরছাড়াদের কথা শুনতে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। পরে সেই সংখ্যা বেড়ে হয় ১১।

Post Poll Violence: ৩ থেকে বেড়ে সদস্য কেন ১১ জন? মানবাধিকার কমিশনের কাছে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্ট। ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 17, 2022 | 3:49 PM

কলকাতা : ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় এবার নতুন বিতর্ক। তদন্ত কমিটিতে যেখানে তিনজনের থাকার কথা ছিল, সেখানে কেন ১১ জন সদস্য এলেন রাজ্যে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য। আদালতের নির্দেশে যে কমিটি তৈরি হয়েছিল, সেই কমিটির সদস্য সংখ্যা আদালতকে না জানিয়েই বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ। আর সেই অভিযোগ নিয়েই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার শুনানি। দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর মানবাধিকার কমিশনের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। আগামী ১৯ মে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে রয়েছে এই মামলার শুনানি রয়েছে।

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তদন্তের জন্য মোট তিনজন সদস্যের কমিটি তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। তিন সদস্যের মধ্যে একজন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি সকেত ঝা, দ্বিতীয় জন কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি রাজীব জৈন ও তৃতীয় জন স্টেট লিগাল সার্ভিস অথরিটির প্রতিনিধি রাজু মুখোপাধ্যায়। পরবর্তীতে সেই কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয় ১১। আদালতকে না জানিয়ে অতিরিক্ত অফিসার আনা হয়েছে বলে অভিযোগ।

২০২১-এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পর বিভিন্ন জায়গা থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ ওঠে। বিরোধী দলের কর্মীদের অনেকেই অভিযোগ তোলেন তাঁরা ভয়ে ঘরে ফিরতে পারছেন না। সেই সব ঘড়ছাড়াদের অভিযোগ শোনার জন্য ওই কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু পরে দেখা যায় মোট ১১ জন সদস্য এসেছেন এ রাজ্যে।

এ দিন আদালতে এজি সৌম্যেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ১১ জন সদস্যকে পাঠানো হয়েছে। আর রাজ্যের কাছে এদের নিরাপত্তা, পরিবহন পরিষেবা ইত্যাদি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, অথচ কমিটি বাড়ানোর কোনও নির্দেশ নেই আদালতের।

রাজ্যের এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কমিটির আইনজীবী সুবীর স্যানাল জানান, মোট ৪০০ টি অভিযোগের পাশাপাশি আরও ১০০ টি অতিরিক্ত অভিযোগ জমা হয়েছে। এত জনের কথা শুনতে গেলে লোকসংখ্যাও বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়ে গত ১১মে বৈঠক হয়েছে। আর সেই বৈঠকের পর অতিরিক্ত লোকের প্রয়োজন অনুভব করা হয়। তাই ১১ জনকে আনা হয়েছে।

সব শুনে প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, এই তথ্য আগেই আদালতে জানানো প্রয়োজন ছিল। আগামিকাল বুধবার রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে আদালত।