Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার উত্তরপত্র ‘চুরির’ অভিযোগ ১ কর্মীর বিরুদ্ধে! কেজি দরেই হত বিক্রি

Jadavpur University: যাদবপুর থানাতে দায়ের হয়েছে এফআইআর। জোরদার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার উত্তরপত্র ‘চুরির’ অভিযোগ ১ কর্মীর বিরুদ্ধে! কেজি দরেই হত বিক্রি
ছবি - ব্যাপক চাঞ্চল্য শিক্ষা মহলে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 25, 2022 | 10:49 PM

কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) থেকে পরীক্ষার খাতা ‘চুরির’ অভিযোগ। আপাত ভাবে এ ঘটনা খুব হাস্যকর বিষয় মনে হলে আদপে তেমনটা কিন্তু নয়। প্রতি ৬ মাস অন্তর সেমিস্টার পরীক্ষা হয় যাদবপুরে। প্রতি সেমেস্টার শেষেই প্রচুর খাতা জমা পড়ে। নিয়মাফিক রিভিউ বা স্ক্রুটিনির জন্য একটা সময় পর্যন্ত তা জমা থাকে বিশ্ববিদ্যালয়েই। কিন্তু সে খাতাই এবার চুরির অভিযোগে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিক্ষামহলে। সম্প্রতি যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অরবিন্দ ভবনে গেলে দেখা যায় সেখানে থরে থরে সাজানো রয়েছে পরীক্ষার খাতা। পড়ুয়াদের দাবি, এখান থেকেই চুরি গিয়েছে উত্তরপত্র। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ছে যাদবপুরের অন্দরেও। থানাতেও দায়ের হয়েছে এফআইআর। জোরদার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে অভিযুক্ত কর্মচারী দীপক দাসকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে যাদবপুর থানার পুলিশ। তবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি, ধৃত ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিপিএমের কর্মচারী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। অভিযোগ, অরবিন্দ ভবনে রাখা খাতার স্তূপ থেকেই ২-৩ কেজি করে খাতা প্রায়শই বাইরে পাচার করত ওই ব্যক্তি। তবে যাদবপুরের মতো রাজ্যের প্রথমসারির বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছে শিক্ষা মহলের একটা বড় অংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নজরদারির পরেও কী করে এ ঘটনা ঘটল সে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। 

এ প্রসঙ্গে যাদবপুরের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা সঞ্জীব প্রামানিক বলন, “আজ সাড়ে আটটা নাগাদ আমরা জানতে পারি এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ট্রোলার অফিসেই কাজ করেন। আমরা শুনেছি তিনি নাকি বারবারই ব্যাগে করে খাতা নিয়ে গিয়ে বাইরে কোথাও বিক্রি করতেন। তারপরই তাঁকে আজ ধরা হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট কন্ট্রোলার যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারপরই পুলিশ তাঁকে আটক করে। এটাও শোনা যাচ্ছে অভিযুক্ত ব্যক্তি সিপিএমের কর্মচারী সংসদের সক্রিয় সদস্য। যে উত্তরপত্রের সঙ্গে পড়ুয়াদের জীবন জড়িত আছে সেই খাতাই যদি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এভাবে চুরি হয়ে যায় তাহলে ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা কোথায়?”