Calcutta High Court: ‘আমরা জানি দুবাইয়ে ভাল চোখের চিকিৎসা হয় না, তাও আপত্তি করিনি’, মন্তব্য বিচারপতির
Calcutta High Court: বিচারপতি বলেন, "কিছুদিন আগে একজন দুবাইতে চোখের চিকিৎসার জন্য যেতে চেয়ে আবেদন করেন। আমরা জানি সেখানে ভাল চোখের চিকিৎসা হয় না, তাও আপত্তি করিনি।"
কলকাতা: দক্ষিণ মুম্বইয়ের এক নামী পানশালার মালিক জিতেন্দ্র চান্দেরলাল নভলানি (Jitendra Navlani)। অতীতে তোলাবাজি ও খুনের হুমকির অভিযোগ তুলে ওই ব্যবসায়ী মুম্বই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। যে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাদের মধ্যে রয়েছেন রাজর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আবার পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি (CID) আধিকারিক বলে সূত্রের খবর। যদিও সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছিল সিআইডি। ওই ঘটনার পর রাজ্যেও একটি পৃথক তদন্ত শুরু হয়েছে। নরেন্দ্রপুর থানায় নভলানির বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা রুজু করে। সেই মামলায় আগেই নিম্ন আদালত থেকে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন তিনি। তবে তাঁকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কিন্তু এখন ওই ব্যবসায়ীর দাবি, তাঁর চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়া প্রয়োজন। তাই বিদেশযাত্রার অনুমতি চেয়ে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন।
সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর একক বেঞ্চে। সেখানেই বিচারপতি একটি তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “চিকিৎসার জন্য আবেদনকারী কোথায় যেতে চান, সেটা তাঁর পছন্দ, সেটিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ। কিছুদিন আগে একজন দুবাইতে চোখের চিকিৎসার জন্য যেতে চেয়ে আবেদন করেন। আমরা জানি সেখানে ভাল চোখের চিকিৎসা হয় না, তাও আপত্তি করিনি।” যদিও বিচারপতি বিবেক চৌধুরী এদিন কারও নাম উল্লেখ করেননি। তবে অতীতে বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর কাছ থেকেই তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দুবাই যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, রাজ্যের তরফের আইনজীবী এ দিন নভলানির বিদেশ যাত্রার আবেদনের বিরোধিতা করেন। তাঁর বক্তব্য, এই ছোট ব্যাপার এসএসকেএম হাসপাতালেই সম্ভব। আর সেটি শুনেই বিচারপতি বিবেক চৌধুরী এই মন্তন্য করেন। আগামী বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। তবে বিচারপতির এদিনের মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে আইনজীবী মহলে। আইনজীবীদের একাংশের মতে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে অতীতে তিনি চিকিৎসার জন্য দুবাই যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন, সেই কথাই নাম না করে স্মরণ করিয়ে দিলেন বিচারপতি।