Justice Ganguly: ‘ঢাকি সহ কীভাবে বিসর্জন দিতে হয় জানি’, ৪২,৫০০ প্রাথমিক শিক্ষকের প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি বিচারপতির
Primary Recruitment: ১৪০ জন অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী একটি মামলা করেছিলেন। বিচারপতির মন্তব্য, মানিক ভট্টাচার্যের কাছে পৌঁছতে পারেননি বলেই অনেকের নিয়োগ হয়নি।
কলকাতা: যোগ্য প্রার্থীদের বদলে অযোগ্যদের চাকরি হয়েছে, এমন অভিযোগ বারবার সামনে আসছে। এবার প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় ২০১৬-র পুরো প্যানেল বাতিল করার হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। ২০১৬-র প্যানেল অনুযায়ী, ৪২ হাজার ৫০০ শিক্ষকের নিয়োগ হয়েছিল প্রাথমিকে (Primary)। প্রয়োজনে সেই প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হবে বলে এদিন মন্তব্য করেছেন বিচারপতি। পর্ষদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, ‘ঢাকি সব বিসর্জন কীভাবে দিতে হয়, আমিও জানি।’ মূলত ১৪০ জন অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীর করা মামলায় মঙ্গলবার এমন মন্তব্য করেছেন বিচারপতি। মামলাকারীদের আরও বেশ কিছু নথি নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
১৪০ জন অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী ২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরির আবেদন জানিয়ে মামলা করেছিলেন হাইকোর্টে। মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার শুনানি। তাঁদের দাবি, সেই বছরের নিয়ম অনুযায়ী অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীদের নিয়োগ করা হত। প্রায় ৩২ হাজার অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী ২০১৬-র নিয়োগপ্রক্রিয়ায় নিয়োগপত্র পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন মামলাকারীরা।
সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে প্রার্থীদের নম্বর বিভাজন করে তালিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মামলাকারী চাকরি প্রার্থীদের দাবি, সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে, তাঁদের থেকে কম নম্বর পেয়েও অনেক অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী সুপারিশপত্র পেয়েছেন। সেই তথ্য এদিন আদালতে পেশ করেন মামলাকারীরা। তাঁদের আরও বেশ কিছু নথি পেশ করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। আগামী ১৬ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
সেই মামলা চলাকালীন এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি জানি ঢাকি সমেত বিসর্জন দিতে হয় কীভাবে।’ পর্ষদকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘যে দিন ২০১৪-র প্রাথমিক টেটের ভিত্তিতে গড়া ২০১৬-র পুরো প্যানেল বাতিল করব সেদিন বলব ঢাকি সমেত বিসর্জনের অর্থ কী।’ ওই বছর ৪২ হাজার ৫০০ জন প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছিলেন। একই সঙ্গে বিচারপতির দাবি, মানিক ভট্টাচার্য পর্যন্ত পৌঁছনোর ক্ষমতা নেই বলে চাকরি পাননি মামলাকারীরা।