Anubrata Mondal: সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল
Anubrata Mondal: গত ৬ এপ্রিল গরু পাচার মামলায় বীরভূমের দাপুটে নেতাকে তলব করে সিবিআই। আগের দিনই কলকাতায় পৌঁছেছিলেন তিনি। তবুও পরের দিন নিজাম প্যালেসে পৌঁছতে পারেননি তিনি।
কলকাতা: সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সকালে চিনার পার্কের বাড়ি থেকে বের হন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় তিনি বৃহস্পতিবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন তিনি। সকাল ১০টায় তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। সকাল ৯টা ১০ মিনিটে তাঁর গাড়ি চিনার পার্কের আবাসন থেকে বার হয়। কৈখালি হয়ে বাইপাস ধরে এগোয় গাড়ি। ৯টা ৫৪ মিনিটে গাড়ি পৌঁছয় নিজাম প্যালেসে। অনুব্রতর সঙ্গে রয়েছেন তাঁর আইনজীবী। এসএসসি মামলায় যখন তুঙ্গে বিতর্ক, তার মধ্যেই নয়া টুইস্ট। হঠাৎই সিবিআই হাজিরা দিতে রাজি হয়ে যান অনুব্রত মণ্ডল। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতরে চিঠি দিয়ে বুধবারই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। তড়িঘড়ি জবাব দেয় নিজাম প্যালেসও। এর আগে গরু পাচার মামলা থেকে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা- সিবিআই একাধিকবার তলব করলেও অসুস্থ-সহ বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।
গত ৬ এপ্রিল গরু পাচার মামলায় বীরভূমের দাপুটে নেতাকে তলব করে সিবিআই। আগের দিনই কলকাতায় পৌঁছেছিলেন তিনি। তবুও পরের দিন নিজাম প্যালেসে পৌঁছতে পারেননি তিনি। বরং অত্যন্ত নাটকীয়ভাবে তাঁর গাড়ি গিয়ে পৌঁছয় এসএসকেএম হাসপাতালে। অসুস্থ বোধ করায় তিনি ভর্তি হয়ে যান উডবার্ন ওয়ার্ডে। সিবিআই চাইলেই উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করতে পারে, চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন নেতা। হাসপাতাল থেকে মুক্তির পরও বাড়িতে কিংবা ভার্চুয়াল মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদ্বির করেন। এরপর এপ্রিলের শেষে অনুব্রত মণ্ডল সিবিআইকে চিঠি দিয়ে জানান তিনি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজি। প্রসঙ্গত এর আগে ২৫ এপ্রিল অনুব্রত মণ্ডল চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, সিবিআই যদি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন মনে করে তা হলে ২১ মে পর তিনি সিবিআইয়ের কলকাতা অফিসে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রস্তত। নিজের প্যান এবং আধার কার্ডের প্রতিলিপিও জমা দিয়েছিলেন তিনি।
অবশেষে বুধবার তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সিবিআই দফতরে যাবেন। অনুব্রতর তরফ থেকে জানানো হয়, তিনি হাজিরা এড়াতে চান না। তিনি শারীরিক ভাবে অসুস্থ। অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছিলেন, গরু পাচার মামলায় তদন্তে সহযোগিতা করতে রাজি তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। অনুব্রত মণ্ডল ঠিক কী কী প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারেন, তা নিয়েই চলছে জলঘোলা।