Haridevpur Electrocution: ছোট্ট হাতে তখনও ধরা সাদা প্লাস্টিক, অন্য হাত জলে ভেজা; দমদমের পর হরিদেবপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুমৃত্যু
Haridebpur: স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়ির বাইরে কোনও কারণে বেরিয়েছিল ওই শিশু। এদিকে বৃষ্টির জন্য রাস্তায় জল ভর্তি। হেঁটে যেতে পারছিল না। তাই রাস্তার ধারের বাতিস্তম্ভটি ধরে ফেলে সে।
কলকাতা: দমদমের পর এবার হরিদেবপুর। আরও একবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা মহানগরে। কলকাতার ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডে চাঁদার ভিলেজ এলাকায় ৪১ পল্লি ক্লাবের পাশে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশবাহিনী। জানা গিয়েছে, নিহত ওই শিশুর নাম নীতীশ যাদব। বয়স ১২ বছর। সূত্রের খবর, বাড়ির বাইরে কোনও কারণে বেরিয়েছিল ওই শিশু। এদিকে বৃষ্টির জন্য রাস্তায় জল ভর্তি। হেঁটে যেতে পারছিল না। তাই রাস্তার ধারের বাতিস্তম্ভটি ধরে ফেলে সে। সেখানেই মরণফাঁদ পাতা ছিল তা বুঝতেও পারেনি ছোট্ট দু’টো হাত। ছিটকে পড়ে রাস্তায়। শিশুটির পরণে নীল-লাল গেঞ্জি, পায়ে খাকি প্যান্ট। এক হাতে একটা সাদা প্লাস্টিক ধরা। ভাজ করা বুকের কাছে। অন্য হাত জলে পড়ে। এ দৃশ্য দেখলে গলার কাছে দলা পাকিয়ে আসবে কান্না।
হরিদেবপুর থানা এলাকার ৩৪/বি হাফিজ মহম্মদ ইশাক রোড। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ নীতীশ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, পড়তে যাচ্ছিল সে। কারও আবার বক্তব্য, পুজোর প্রসাদ দিতে যাচ্ছিল। এরইমধ্যে রাস্তার জমা জল পার করতে গিয়ে বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত দেয় শিশুটি। এরপরই ইলেকট্রিক শক লাগে। ছিটকে পড়ে রাস্তায়। মুহূর্তে সব শেষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় আধ ঘণ্টা রাস্তাতেই পড়েছিল সে। এরপর বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার কর্মীরা এসে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে শিশুটিকে উদ্ধার করে। নিয়ে যাওয়া হয় এমআর বাঙুর হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এভাবে জল জমে থাকার কারণেই একটা ফুলের মতো শিশুর প্রাণ গেল।
ঠিক এরকমই একটি বর্ষা ভেজা দিনে দমদমে এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল। গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর বিকেল প্রায় সওয়া ৫ টা তখন। দমদমের বান্ধবনগরের ফ্ল্যাটবাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ক্লাস সিক্সের অনুষ্কা। সপ্তাহের বাকি পাঁচটা দিনও এই সময়েই সে বাড়ি থেকে বেরোত। প্রথমে যেত বন্ধু পাখির বাড়ি। সেখান থেকে প্রাইভেট টিউশন। এই বিকেলটা যে বাকি পাঁচটা বিকেলের মতো হবে না, সেটা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি অনুষ্কার মা প্রিয়াঙ্কা। যেমন এদিন বোঝেননি নীতীশের মা। বান্ধবনগর চার মাথার মোড়ে তখন হাঁটু সমান জল। উল্টো দিক দিয়ে একটা গাড়ি আসছিল। সেই গাড়ি থেকে ছিটিয়ে আসা জল থেকে বাঁচতে গিয়ে ড্রেনে পড়ে যায় পাখি। ল্যাম্পপোস্ট ধরে ওঠার চেষ্টা করতেই শরীরে ধাক্কা মারে ২২০ ভোল্টের কারেন্ট। পাখির ওই অবস্থা দেখে তার দিকে হাত বাড়ায় অনুষ্কা। মুহূর্তেই সব শেষ। শেষ দু’টি প্রাণ।