Kolkata Police: দুর্ঘটনার পর সময় নষ্ট নয়, ‘গোল্ডেন আওয়ার’ কাজে লাগাতে তৎপর কলকাতা পুলিশ
Kolkata Police:কলকাতার ২৫ টি ট্রাফিক গার্ডের প্রায় তিন হাজার পুলিশকর্মীকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
কলকাতা : শহর জুড়ে সচেতনতার প্রচার হওয়ার সত্ত্বেও পথ দুর্ঘটনা এড়ানো যাচ্ছে না। কখনও বাইক, কখনও অটো, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। অনেক সময় দুর্ঘটনার পর বেঁচে থাকলেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে ঘটছে মৃত্যু। অ্য়াম্বুল্যান্সের অপেক্ষা করতে গিয়েও অনেক সময় দেরি হয়ে যাচ্ছে। সেই ধরনের ঘটনা যাতে এড়ানো যায়, এবার তারই উদ্যোগ নিল কলকাতা পুলিশ।
শুধু দুর্ঘটনা নয়, পথচলতি মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনাও থাকে। ঘটনার পর একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চিকিৎসা শুরু করা গেলে রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা থাকে। সেই সময়টাকে বলা হয় গোল্ডেন আওয়ার। সেই সময়টা যাতে নষ্ট না হয়, তারই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে পুলিশের তরফে।
কর্তব্যরত অবস্থায় তাঁদের চোখের সামনে এরকম কিছু ঘটলে তাঁরা কীভাবে প্রাণ বাঁচাবেন, সেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে পুলিশকর্মীদের। কলকাতা পুলিশের কর্মীদের সেই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হল মঙ্গলবার। সেই মুহূর্তে কী করলে কেউ সুস্থ হতে পারেন, প্রাণে বাঁচতে পারেন, সেটাই শেখানো হচ্ছে। মূলত পালস মাপা, সিপিআর দেওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সিপিআর দেওয়া অর্থাৎ যে পদ্ধতিতে অসুস্থ বা আহত মানুষের শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক করা যায়। কলকাতার ২৫ টি ট্রাফিক গার্ডের প্রায় তিন হাজার পুলিশকর্মীকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি ট্রাফিক সন্তোষ পান্ডে জানান, ওই সময়ের ওপর অনেকের বেঁচে থাকা নির্ভর করে। তাই এই প্রশিক্ষণ নেওয়া থাকলে অ্যাম্বুল্যান্স আসার আগেই প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করে দিতে পারবেন পুলিশকর্মীরা। প্রশিক্ষণ নেওয়া এক সার্জেন্ট জানান, পদ্ধতিগুলো শেখা থাকলে অনেকের প্রাণ বাঁচাতে পারবেন তাঁরা। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার চিংড়িঘাটায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধার। বাস থেকে নামতে গিয়ে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।