Kunal vs Dhankhar: ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিকৃত টুইট’, দু’ঘণ্টার হাসিমুখে আলোচনা শেষে আবার টুইট-যুদ্ধ

Kunal Ghosh: রাজ্যপালের টুইটগুলির পর কুণাল ঘোষও পাল্টা একটি টুইট করেছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, "রাজ্যপালের টুইট একতরফা এবং যেন বিজেপির হয়ে কথা বলছেন।"

Kunal vs Dhankhar: 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিকৃত টুইট', দু'ঘণ্টার হাসিমুখে আলোচনা শেষে আবার টুইট-যুদ্ধ
কুণাল ঘোষ ও জগদীপ ধনখড়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 28, 2022 | 5:23 PM

কলকাতা : রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করতে মঙ্গলবার রাজভবনে গিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সেখানে ছিলেন ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজা, অর্জুন সিং, সায়নী ঘোষ, তাপস রায় সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা। প্রায় দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে। হাসিমুখে সবার সঙ্গে আলোচনার একটি ভিডিয়োও টুইটারে শেয়ার করেছেন রাজ্যপাল। ওই টুইটটির পর আরও দু’টি টুইট করেছেন রাজ্যপাল। সেখানে তিনি লিখেছেন, রাজ্যপাল তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছেন সরকার যেন আইন মেনে কাজ করে তা নিশ্চিত করার জন্য। শাসকের আইন যেন না হয়ে যায়।

শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি রাজ্যের সিন্ডিকেট এবং মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য দমন করার জন্যও রাজ্যকে বলেছেন রাজ্যপাল। দুর্গতদের সাহায্যের ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িকতা এবং তোষণ বন্ধ করার জন্যও বলা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী যাতে তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করেন, সেই বার্তাও টুইটারে দিয়েছেন তিনি।

তৃতীয় টুইটে তৃণমূলের তরফ থেকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল সেটিও তুলে ধরেছেন রাজ্যপাল। সঙ্গে লিখেছেন, বিগত তিন বছরে প্রথমবার তৃণমূলের প্রতিনিধি দল দেখা করতে এসেছে। রাজ্যপাল আশ্বাস দিয়েছেন, তাদের বক্তব্য খতিয়ে দেখা হবে। উল্লেখ্য, রাজ্যপাল যে তৃণমূলের তরফে পাঠানো যে চিঠিটি তুলে ধরেছেন, তাতে মোটা হরফে লেখা রয়েছে সারদা কেলেঙ্কারিতে শুভেন্দু অধিকারীর জড়িত থাকার বিষয়টিতে দ্রুত সিবিআই হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজভবনে। উল্লেখ্য, ওই চিঠির শুরুতেই অভিযোগ করা হয়েছে, সিবিআই কিছু কিছু ক্ষেত্র কোনও কাজ করছে না। সম্প্রতি সারদা কর্ণধার সুদীপ্ত সেন প্রকাশ্যে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছিলেন এমনকী ব্ল্যাকমেলের হুমকিও দিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়েছিল চিঠিতে।

অথচ রাজ্যপালের টুইটের লেখাগুলিতে সেই অভিযোগের কোনও প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছেন না তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। রাজ্যপালের এই টুইটগুলির পর কুণাল ঘোষও পাল্টা একটি টুইট করেছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, “রাজ্যপালের টুইট একতরফা এবং যেন বিজেপির হয়ে কথা বলছেন। তৃণমূল প্রতিনিধি দলের বক্তব্যের কথা এবং কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা তিনি লেখেননি। টুইটে বিকৃতি করা হয়েছে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই টুইট করা হয়েছে। রাজ্যপালের থেকে এটি প্রত্যাশিত নয়।”

এরপর সাংবাদিক বৈঠক করেও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন কুণাল ঘোষ। প্রশ্ন তোলেন, “টুইটে কেন নেই তৃণমূল প্রতিনিধি দলের বক্তব্য? কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সম্পর্কে কেন বলা নেই? কেন আমাদের বক্তব্য নেই? দেখে মনে হচ্ছে উনি আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু আমরা গিয়েছিলাম ওনার কাছে। রাজ্যপাল তাঁর রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা থেকে এই টুইট করেছেন। পক্ষপাতদুষ্ট টুইট, বলতে বাধ্য হচ্ছি।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “ওনার টুইটে বিকৃতি রয়েছে। এই টুইট রাজ্যপালের মানায় না। কাদের কাছে ভাল সাজার জন্য এই টুইট করলেন, সেটা উনি বলতে পারবেন। বিজেপির কেউ কেউ রাজ্যপালকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করছে। আমরা বলেছি এইগুলি করতে দেবেন না। রাজ্যপাল টুইট ব্যাধিতে আক্রান্ত। এই ধরনের টুইট করায় একটা ভাল আলোচনা বিঘ্নিত হচ্ছে।”

কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেখলাম রাজ্যপাল টুইট করেছেন। সেখানে মূল আলোচনার বিষয়ের বাইরে কিছু জিনিস তুলে ধরেছেন। মনে রাখতে হবে, তৃণমূল আবেদন নিয়ে তাঁর কাছে গিয়েছিল। উনি কোনও আবেদন করতে আসেননি। উনি আলোচনায় বলছেন ২০১৯ এর পর তৃণমূল আসছে। এরকম সুসম্পর্ক থাকা উচিত। আবার উনি টুইট করছেন, বিজেপির বলে দেওয়া কথা তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের কাছে আবেদন করছেন। এই টুইট রাজ্যপালকে মানায় না। আমরা মনে করি, রাজভবন সবার। এটাকে বিজেপির পার্টি অফিস হিসাবে ব্যবহার করতে দেবেন না। উনিও বললেন, এই কমিউনিকেশন দরকার। কিন্তু যদি উনি অসম্পূর্ণ টুইট করেন তাতে পক্ষপাতদুষ্ট সামনে আসে, তাঁর টুইটব্যাধি সামনে আসছে।”