Kunal Ghosh: ‘আশা করব বিচারপতিরা আদালতের চৌকাঠটি বহাল রাখবেন’, SSC দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তে ‘ক্ষুব্ধ’ কুণাল
Kunal Ghosh: “কে মন্ত্রী থাকবে কে থাকবে না তা রাজ্যের বিষয়। বিচারপতিদের আদালতের সীমারেখা মাখায় রাখা উচিৎ”। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর নাম জড়ানোয় এই ভাষাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে।
কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (corruption in teacher recruitment) অভিযোগে ফের সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। স্কুল স্তরে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যাতে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর। মেধা তালিকায় নাম না থেকেও চাকরি পেয়েছেন মন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। বর্তমানে তিনি কোচবিহারের একটি স্কুলে কর্মরত। ২০১৮ সালের কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা বালিকা বিদ্যালয়ে কাজে যোগ দেন তিনি। অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে দেওয়া হয়েছে নিয়োগ পত্র। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ( Calcutta High Court)। মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যেই পরেশ অধিকারী জিজ্ঞাসাবাদেরও নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূল মুখপত্র কুণাল ঘোষ (Trinamool spokesperson Kunal Ghosh) বলেন, “যেটা ঠিক, তা সবসময় ঠিক। যদি কোথাও ভুল থাকে নিশ্চিত ভাবে তা ভুল। মহামান্য আদলতের রায় নিয়ে কিছু বলার নেই, কিন্তু কোনও জায়গায় ভুল-ক্রটি চিহ্নিত করতে গিয়ে আমরা আশা করব বিচারপতিরা আদালতের চৌকাঠটি বহাল রাখবেন। ভুল-ঠিক অবশ্যই একটা ভিন্ন বিষয়, কিন্তু, কাকে মন্ত্রী রাখা হবে বা হবে না, এটা মুখ্যমন্ত্রী বা সরকার যাঁরা চালাচ্ছেন তাঁদের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিৎ”। আগামী ৭ জুন সিবিআইকে এই ঘটনায় রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৫ জুলাই।
এদিকে অভিযোগ, অঙ্কিতাকে চাকরি দিতে এসএসসি-র মেধা তালিকাই বদলে ফেলা হয়েছে। এই খবর সামনে আসতেই তা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে গোটা রাজ্যে। তবে এদিন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতে গিয়ে আদালতের তরফে এও বলা হয় অঙ্কিতাকে অপসারণ করলেই যে ঘটনার শেষ হয়ে যাবে এমনটা নয়। কারণ, এই দুর্নীতি অনেক আগেই শুরু হয়েছি, আর সেই কারণেই চাকরি পেয়েছেন অঙ্কিতারা। সূত্রের খবর, ২০১৮ সালের ৩১ অগষ্ট পাঠানো সুপারিশপত্রের ভিত্তিতেই চাকরি পেয়েছেন অঙ্কিতা। কিন্তু কে করেছিল সেই সুপারিশ? কলকাতা হাইকোর্টের মতে, এই চাকরির পিছনে নিশ্চয় হাত করেছে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির। তাঁর নির্দেশেই হয়েছে চাকরি। কিন্তু, কে দিয়েছিল সেই নির্দেশ তাই এখন খুঁজে বের করতে মাঠে নামছে সিবিআই।