কলকাতা : তদন্ত যতই এগোচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে ততই লাফিয়ে বাড়ছে টাকার অঙ্ক। কুন্তল ঘোষ যে কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত, সে তথ্য় আগেই সামনে এনেছেন গোয়েন্দারা। এবার আর স্পষ্ট হল, কার মাধ্যমে ঠিকক কত টাকা গিয়েছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। সেই মামলায় চার্জশিটে সামনে এল একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য শুধুমাত্র টেট পরীক্ষা থেকেই কত কোটি টাকা তোলা হয়েছিল, চার্জশিটে সেই তথ্য প্রকাশ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গত ৩ এপ্রিল যে চার্জশিট প্রকাশ হয়েছে, তাতে ইডি-র দাবি, কয়েকজন মিডলম্যানের মাধ্য়মে প্রায় ১১ কোটি টাকা গিয়েছিল পার্থর কাছে। অন্তত ৫০ জন এজেন্টের মাধ্যমে কুন্তল সেই টাকা তুলতেন বলেও দাবি করা হয়েছে চার্জশিটে।
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৪ সালের প্রাথমিক নিয়োগে, টেট পাশ করাতে নেওয়া হত ১ লক্ষ টাকা করে, আর প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি পাইয়ে দিতে কুন্তলের রেট ছিল ৫ লক্ষ।
ইডি-র দাবি, বেশ কয়েক দফায় পার্থ ঘনিষ্ঠদের কাছে ২০১৪-র টেট থেকে তোলা ১১ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা পৌঁছে দিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। পার্থর প্রাক্তন ওএসডি প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়, আপ্তসহায়ক সুকান্ত আচার্য, দীপক সরকার ও পার্থ সরকার ওরফে ভজার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার।
ইডি সূত্রে খবর, কুন্তল জানিয়েছেন, ২০১৪-র টেটে যাঁরা ফেল করেছিলেন, তাঁদের ডকুমেন্ট ভেরিফাই করতে ৪.৭৫ কোটি টাকা চেয়েছিলেন গোপাল দলপতি। প্রাথমিকে চাকরি দিতে গোপাল প্রার্থী পিছু ৪ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন বলেও দাবি করেছেন কুন্তল। শুধুমাত্র প্রাথমিক নয়, গ্রুপ ডি নিয়োগের দুর্নীতির সঙ্গেও জুড়েছে প্রাক্তন তৃণমূল যুবনেতা কুন্তলের নাম। ইডি চার্জশিটে জানিয়েছে, কুন্তল প্রাথমিক ও গ্রুপ ডি-তে অবৈধ নিয়োগে ৩৪ কোটি টাকা তুলেছিলেন। এর মধ্যে ১৬ কোটি টাকা দিয়েছিলেন গোপাল দলপতিকে। সে সব তথ্য ডায়েরিতে লিখেও রেখেছেন কুন্তল।