Madan Mitra Exclusive: ক্লাব টাউন আবাসনে যাতায়াত ছিল মদনের, চিনতেন কি অর্পিতাকে? যা বললেন বিধায়ক…

Arpita Mukherjee: মদন মিত্র বলেন, "আমার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ও তো ভোটার। যে ক্লাব টাউন আবাসনে ও থাকত,  ওই আবাসনে আমাদের সাংসদ সৌগত রায়ও থাকেন। আমরাও যখন কোনও গোপন বৈঠক করতে যাই, ওই ক্লাব টাউনেই যাই।"

Madan Mitra Exclusive: ক্লাব টাউন আবাসনে যাতায়াত ছিল মদনের, চিনতেন কি অর্পিতাকে? যা বললেন বিধায়ক...
কী বললেন মদন মিত্র?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 10, 2022 | 6:00 AM

কলকাতা : ইডি-সিবিআই-এর জোড়া ফলায় আপাতত বেশ অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক দল। ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সিবিআই আবার বার বার ডেকে পাঠাচ্ছে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের তাবড় নেতাদের নাম যখন এভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে দুর্নীতির মধ্যে, সেই সময়ে TV9 বাংলায় একান্ত সাক্ষাৎকারে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। তৃণমূল কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের সৈনিক তিনি। রাজনীতির আঙিনায় যাঁরা তাঁর সতীর্থ, তাঁদের নাম এভাবে জড়িয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে কী বলছেন মদন মিত্র?

অর্পিতাকে চিনতেন মদন মিত্র?

কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। বেলঘরিয়া এলাকা তাঁর নখদর্পণে। বঙ্গ রাজনীতির পরিসরে কামারহাটি-বেলঘরিয়ার নাম উঠলে সঙ্গে সঙ্গে উঠে আসে মদন মিত্রের নামও। সেই বেলঘরিয়ার ক্লাব টাউন আবাসনেই অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি নগদ টাকা। মদন মিত্র বলেন, “আমার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ও তো ভোটার। যে ক্লাব টাউন আবাসনে ও থাকত,  ওই আবাসনে আমাদের সাংসদ সৌগত রায়ও থাকেন। আমরাও যখন কোনও গোপন বৈঠক করতে যাই, ওই ক্লাব টাউনেই যাই। আমি অর্পিতাকে চিনি না, দেখিনি বললে মিথ্যা কথা বলা হবে।”

২৩ মাস কাস্টডিতে থাকার পরেও জিতেছি : মদন

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হয়েছে। দলের সব দায়িত্ব থেকেও সরানো হয়েছে। এরপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন ছড়িয়েছে পার্থ বাবুর রাজনৈতিক কেরিয়ার নিয়ে। প্রসঙ্গত, এর আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন মদন মিত্রও। সেই সময়ের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে TV9 বাংলায় মদন মিত্র বলেন, “আমি ২৩ মাস কাস্টডিতে ছিলাম। তারপরেও কামারহাটির মানুষ একশো বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়ে আমায় জিতিয়েছেন। তাঁরা প্রমাণ করে দিয়েছেন। যে বেলঘরিয়াতে কোনওদিন সিপিএম হারেনি, সেই বেলঘরিয়াতেও বিপুল ভোটে সিপিএম হেরে গিয়েছিল।”

যদি এবার মদনের ডাক পড়ে?

সাম্প্রতিককালে বার বার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। কেন বার বার সিবিআই হাজিরা এড়িয়ে যাচ্ছেন অনুব্রত বাবু? মদন মিত্রের সোজাসাপ্টা জবাব, “দল কি অনুব্রতকে বলেছে যেতে না? সেটা বোধ হয় না। কারণ, যদি তাই হত, তাহলে অভিষেককে দল দিল্লি যেতে দিত না।”  পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “আমি এটুকু বলতে পারি, কাল-পরশু ইডি বা সিবিআই যখন যেখানে ডাকবে, আমি যাব। আমায় পার্টি কোনওদিন বারণ করেনি। আমি যাব। আমার দুঃসময়ে আমার পার্টি আমায় সম্মান দিয়েছে, মনোনয়ন দিয়েছে। এমনকী আমার ভোটের সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় গিয়েছেন। আমি পার্টির কাছে কৃতজ্ঞ।”