Mamata Banerjee: ‘কাশফুল আমার খুব ফেভারিট’, ব্যঙ্গ নিয়ে খোঁচা মমতার

Mamata Banerjee: মমতা বললেন, "কাশফুল আমার খুব ফেভারিট। এই কাশফুল যদি আপনি বাড়িতে ভাল করে সাজিয়ে রাখেন, কত সুন্দর লাগে না?"

Mamata Banerjee: 'কাশফুল আমার খুব ফেভারিট', ব্যঙ্গ নিয়ে খোঁচা মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 27, 2022 | 6:35 PM

কলকাতা: শহরের বিভিন্ন বড় পুজো মণ্ডপগুলির উদ্বোধনের জন্য ঘুরে বেরাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিকেলে বালিগঞ্জ সার্কুলারের দুর্গাপুজো মণ্ডপ উদ্বোধনের জন্য গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে উৎসবের উদ্বোধনের ফাঁকেই তিনি হাতে তুলে নেন পাশে রাখা কাশফুল। সেই কাশফুল হাতে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই যে কাশফুল। কাশফুল আমার খুব ফেভারিট। এই কাশফুল যদি আপনি বাড়িতে ভাল করে সাজিয়ে রাখেন, কত সুন্দর লাগে না? অর্কিডের যেমন বাজার আছে, কাশফুলেরও আছে। একদিন দেখবেন কাশফুল নিয়ে যাঁরা আমাকে ব্যঙ্গ করে বেরাচ্ছেন, তাঁরা দেখবেন কাশফুল দিয়ে কী হয়।”

উল্লেখ্য, এর আগে হাওড়ার এক প্রশাসনিক সভা থেকে কাশফুলের বাণিজ্যিক গুরুত্বের কথা তুল ধরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সওয়াল করেছিলেন কাশফুলের তৈরি বালিশ-বালাপোষের হয়ে। সেই তিনি বিরোধীরা বিভিন্ন সময়ে খোঁচা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। এবার কারও নাম না করে তারই জবাব দিলেন মমতা।

হাওড়া থেকে ঠিক কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?

গতবছর হাওড়ার এক প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাশফুল প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “কেমিক্যাল দিয়ে রিসার্চের ব্যাপার আছে কিনা জানি না। তবে কাজে লাগতে পারে। এগুলো সময়ে হয়, সময়ে ঝরে যায়। কিন্তু বালাপোশ, বালিশ হতে পারে এগুলো দিয়ে। যাঁদের সামর্থ্য আছে প্রচুর টাকা দিয়ে কিনবেন।”

মুখ্যমন্ত্রী আমলাদের উদ্দেশে আরও বলেছিলেন, “এই কাশফুল হয়, তার পর উড়ে চলে যায়। কোনও কাজে লাগে না। এটাকে যদি কেমিক্যালি, টেকনিক্যালি কীসব দিতে হবে…আমি জানি না। তবে এই কাশফুল দিয়ে কিন্তু বালিশ, বালাপোশ হতে পারে। ওই বালিশ মনে হয় প্রচুর টাকা দিয়ে কিনবে যাদের ক্ষমতা আছে। সুতরাং ওই কাশফুলটাকে তোমরা কেমন ইউজ় করতে পারো দ্যাখো তো”।

এই নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিজেপি শিবির থেকে খোঁচা দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “যখন সরকারি চাকরি একদিকে হচ্ছে না, তখন রাজ্যের শিক্ষিত বেকার যুবকদের কোনও শিল্পের মাধ্যমে হয়ত কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে আমরা দেখলাম চপ ও কাশফুল শিল্প বাদে আর কোনও শিল্প নেই।”