Mamata Banerjee: দুয়ারে জনস্রোত, মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘দায়িত্ববোধ আর সচেতনতার সঙ্গেই পালিত হয়েছে পুজো’

Durga Puja: জাগো বাংলায় প্রকাশিত হয়েছে মমতার চিঠির বয়ান। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'বিশ্বব্যাপী অতিমারির মধ্যেই সচেতন দায়িত্ববোধের সঙ্গে পালিত হল আমাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব।'

Mamata Banerjee: দুয়ারে জনস্রোত, মুখ্যমন্ত্রী বললেন, 'দায়িত্ববোধ আর সচেতনতার সঙ্গেই পালিত হয়েছে পুজো'
অলংকরণ- অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 20, 2021 | 3:56 PM

কলকাতা : দুর্গা পূজার (Durga Puja) আগে যখন ক্লাবগুলোকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), কোভিড (Covid 19) পরিস্থিতিতে সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে তখন প্রশ্ন উঠেছিল। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পুজো করা আদৌ সম্ভব কি না তা নিয়ে মামলাও হয় হাইকোর্টে (High Court)। পরে আদালতের তৎপরতায় পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়। কিন্তু পুজোর সময় মণ্ডপে মণ্ডপে যে ছবি দেখা যায়, তা থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে ওইসব নির্দেশিকা শুধুই খাতায়-কলমে। মণ্ডপে মণ্ডপে দেখা যায় জনস্রোত, হাজার হাজার মাস্ক বিহীন মুখ। প্রশ্ন ওঠে প্রশাসনের তৎপরতা নিয়ে। এবার পুজোর শুভেচ্ছা বার্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করলেন, দায়িত্ববোধ আর সচেতনতার সঙ্গেই পালিত হয়েছে দুর্গাপুজো। কেমন সচেতনতা ও কতটা দায়িত্ববোধ দেখা গিয়েছে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।

দুর্গা পুজো মিটতেই শুভেচ্ছা বার্তা দিয়ে চিঠি পাঠাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছে সেই চিঠি পৌঁছে যাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে দলের তরফে। বুধবার তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলায় প্রকাশিত হয়েছে সেই চিঠির বয়ান। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী অতিমারির মধ্যেই সচেতন দায়িত্ববোধের সঙ্গে পালিত হল আমাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব। এই সচেতনতা ও সহযোগিতার জন্য আমরা সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।’ শুধু তাই নয় কালীপুজো ও দীপাবলীর আগাম শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে দুর্গাপুজোর উদাহরণ টেনে এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, দুর্গা পূজায় যে সংযম দেখা গিয়েছে, কালি পুজোতেও যেন তা বজায় থাকে।

বিরোধীদের প্রশ্ন দুর্গা পূজায় কি আদৌ সংযম দেখা গিয়েছে? মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড়ের ছবি তো অন্য কথা বলেছে। ষষ্ঠীর আগে থেকেই রাস্তায় দেখা গিয়েছে মানুষের ঢল। বিশেষত শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজোতে এতটাই ভিড় হয়েছিল যে তা সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। কখনও আলো বন্ধ করে কখনও মণ্ডপ বন্ধ করে ভিড় সামাল দিতে হয়। শুধু তাই নয় পুজোর মূল উদ্যোক্তা সুজিত বসু বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তিনি তার নিজের দফতর অর্থাৎ দমকলের নিজস্ব গাইডলাইনও মানেননি।

প্রশ্ন ওঠে সরকারি গাইডলাইন নিয়েও। গাইডলাইনে বলা হয়েছিল, মাস্ক ছাড়া মণ্ডপে প্রবেশ নিষেধ। সামাজিক দূরত্বের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু পুজো শুরু হতেই দেখা গেল সামাজিক দূরত্বের কোনও অস্তিত্বই নেই। এমনকি নির্দেশিকা মানা হচ্ছে কি না সেই পর্যবেক্ষণও হয়নি প্রশাসনের তরফে। পুজো চলাকালীনই বারবার চিকিৎসকেরা ভিড় নিয়ে সতর্ক করতে শুরু করেন মানুষকে। পুজোর পর করোনার সংক্রমণের নতুন ঢেউ শুরু হলে তার দায় কে নেবে সেই প্রশ্নও সামনে আসে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সচেতনতা ও দায়িত্বের সঙ্গে উৎসব পালনের এই দাবিতে আবারও প্রশ্ন উঠেছে।

এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘সচেতনতা আর দায়িত্ববোধের সংজ্ঞা কী?,  সংজ্ঞা তৃণমূল নিজেই তৈরি করেছে।’ তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘রাজ্য সরকারের যে রকম সচেতনতা আর দায়িত্ববোধ, পুজো মণ্ডপেও সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে।’

আরও পড়ুন : RG Kar: TV9 বাংলার খবরের জের, একাধিক বিভাগে কাজে ফিরলেন পিজিটি ডাক্তাররা