Manik Bhattachary: ডাকা হয়েছিল ১২টায়, এলেন পৌনে ১০টায়, নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে ঢুকলেন মানিক
Manik Bhattacharya: স্রেফ ২০১৭ সালের দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকাকে বেআইনি ঘোষণা নয়, আগেই টেট দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
কলকাতা: পার্থ হেফাজতে। জালে ঘনিষ্ঠও। এবার নজর মানিকে! প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তেড়েফুঁড়ে ময়দানে ইডি। বেলা ৯.৪৪ মিনিট। সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে ঢুকলেন প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর ২২ তারিখের অভিযানে মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতে বেশ কিছু নথি, সিডি পাওয়া গিয়েছে। সেই যোগেই আরও ক্লু পেতে মরিয়া কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। আর তাই এবার মানিক ভট্টাচার্যকে আরও জেরায় জোর।
আঁধার নেমেছিল আগেই। বিচারপতির কলমের খোঁচায় চাকরি পদ খুইয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। একে প্রায় প্রতি সপ্তাহে আদালতে দৌড়াদৌড়ি, হাজিরা সওয়াল জবাবের হয়রানি। তার ওপর আবার বাইশে জুলাই ইডির খানা তল্লাশি। এক্কেবারে বাড়িতে হানা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দলের। টেট মামলায় এবার জেরায় জোর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তলব প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতিকে।
টেট দুর্নীতি মামলায় এখন ইডি-র হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যেদিন প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে নামে ইডি সেদিন কিন্তু মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতেও হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
দীর্ঘক্ষণ চলেছে জিজ্ঞাসাবাদও। তবে ফের কেন সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা? এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে খবর, পার্থ – অর্পিতাকে মিলেছে বেশ কিছু নতুন তথ্য। সেই তথ্য যাচাইয়ের জন্যেই এবার ফোকাসে মানিক। এমনকি, প্রয়োজনে পার্থ- মানিককে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করতে হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে ইডি মারফত।
শুধুই ২০১৭ সালের দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকাকে বেআইনি ঘোষণা নয়, আগেই টেট দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন , ২৬৯ জনের চাকরি হয়েছে বেনিয়মের দৌলতেই। সকলেরই বেতন বন্ধ করতে হবে। শুধু তাই নয়, আদালতের নির্দেশে আগে নিজাম প্যালেসেও হাজিরা দেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য।
তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গোয়েন্দাদের চোখা প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন তিনি। রেহাই পাননি পর্ষদ সচিব রত্না চক্রবর্তীও। পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে অপসারণের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলাও করেছেন মানিক। তবে গতি কিছু হয়নি। বিধায়ক হওয়ায় কাঠগড়া থেকে রেহাই দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে চোখা প্রশ্ন, তিরস্কারে রেহাই মেলেনি। ইডি দফতরে যে সেই প্রশ্নের ধার ভার আরও বাড়বে, আরও ফালা ফালা হবেন মানিক, তা বলাই বাহুল্য।