
কলকাতা: দল শোকজ করেছিল। কয়েকদিন থেমেছিলেন। তারপর আবার বেলাগাম ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন নতুন দলগড়ার। এবার আর রাখঢাক না করে পরিষ্কার বলে দিয়েছেন,২০ ডিসেম্বরের পর নতুন দল গঠন করবেন। যার চেয়ারম্যান তিনি নিজেই হবেন। এবার এই নিয়েই প্রতিক্রিয়া দিলেন ব্রাত্য বসু। হুমায়ুনকে অভিনন্দন জানানোর পরও তাঁকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি।
আজ অর্থাৎ শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে বসেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও শশী পাঁজা। সেখানে হুমায়ুনের নতুন দল গঠন নিয়ে কথা বলেন সাংবাদিকরা। প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “তাঁকে অভিনন্দন। তিনি যদি পারেন করেন দেখান।” তবে এখানেই শেষ নয়, এ দিন ব্রাত্য গর্জে ওঠে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান ও কবিগুরুকে অপমান করা নিয়েও। তিনি বলেন, “রবীন্দ্রনাথ সব সময় তাঁর গোটা লেখা-গোটা জীবনে হিন্দু-মুসলমানের ঐক্যের কথা লিখে গেছেন। সম্প্রীতির কথা বলেছেন। এটা বিজেপির না পসন্দ। রবীন্দ্রনাথের এই তত্ব তাঁদের একদম পছন্দ নয়। আমাদের এই উপমহাদেশে হিন্দু মুসলমান ঐক্য বিজেপির রাজনৈতিক ধারণা-চিন্তার পরিপন্থীর। অথচ রবীন্দ্রনাথ তাঁর গোটা জীবনে এটাই বলে গেছে।”
বস্তুত, বিতর্কের শুরু হয় অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বক্তব্য থেকে। কংগ্রেস নেতা বিধুভূষণ দাস বারাক উপত্যকায় শ্রীভূমিতে জেলা কংগ্রেসের একটি সভাতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা আমার সোনার বাংলা গানের প্রথম দুই লাইন গান। যেহেতু এটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত তাই হিমন্ত বিশ্বশর্মা ওই কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহর মামলা করার নির্দেশ দেন। এই জল শুকতে না শুকতেই এবার কর্ণাটকের সাংসদ বিশ্বেশ্বর কাগেরি মন্তব্য করে বসেন, ইংরেজদের খুশি করতে নাকি জনগণমন লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ। আজ সেই নিয়েই মুখ খোলেন ব্রাত্য। বলেন, “বিজেপি পরিকল্পনামাফিক ভুল তথ্য প্রচার করছে ও কবিগুরুকে অপমান করছে।”