Modified Covid Protocol: কোন কোন উপসর্গে করোনার পরীক্ষা করাতে হবে, কারা ভর্তি হবেন হাসপাতালে, আবারও নির্দেশিকা জারি স্বাস্থ্য ভবনের
Covid19: নতুন করে রাজ্যে কোভিডের গ্রাফ উঠছে। করোনার তৃতীয় ঢেউ থিতিয়ে পড়ার পর প্রায় আড়াই মাস পার করে আবারও দেড় হাজারের উপরে রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ।
কলকাতা: প্রায় আড়াই মাস পর ফের বাড়ছে এ রাজ্যে কোভিডের সংক্রমণ। চিকিৎসকরা বলছেন, ভয় নয়। তবে বেপরোয়া হওয়াও ভাল নয়। সতর্ক থাকতেই হবে। মানতে হবে কোভিড বিধি। এখনই কড়াকড়ির পরিস্থিতি তৈরি হয়নি ঠিকই, তবে সে পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, সেদিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য ভবন ‘মডিফায়েড কোভিড প্রোটোকল’ জারি করেছে চিকিৎসাক্ষেত্রে। অর্থাৎ কোন রোগী কোভিডের পরীক্ষা করাবেন, কারাই বা হাসপাতালে ভর্তি হবেন, কাদের নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই সেসব বিষয়গুলিকে নতুন করে সাজিয়ে ফের জারি হয়েছে বিজ্ঞপ্তি।
চতুর্থ পর্যায়ে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে নমুনা পরীক্ষার শর্তাবলীর সরলীকরণ করা হয়েছে। নাক, মুখের সঙ্গে যুক্ত অসুখের চিকিৎসায় দীর্ঘক্ষণ সার্জনকে যুক্ত থাকতে হলে রোগীর পরীক্ষা জরুরি বলে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। জ্বর ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গযুক্ত ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ করা হয়েছে এই মডিফায়েড কোভিড প্রোটোকলে। কারও শরীরে যদি জ্বর থাকে, সঙ্গে দেহে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪-এর নীচে নেমে যায়, তা হলে তাঁর অবশ্যই কোভিডের নমুনা পরীক্ষা করা দরকার। তবে রোগীর উপসর্গ যদি কোভিডের দিকে ইঙ্গিত না করে তা হলে হাসপাতালে ভর্তি বা সার্জারির আগে নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই।
ব্যক্তিগত রক্ষাকবচ
১. যারা টিকা নেওয়ার যোগ্য, তাঁদের সকলকে টিকা নিতে হবে
২. মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজেশনে জোর দিতে হবে
৩. এন ৯৫ মাস্ক, গ্লাভস, ফেস শিল্ড, অ্যাপ্রন, হ্যান্ড হাইজিনই যথেষ্ট। অপসর্গহীন রোগীর চিকিৎসা বা সার্জারির জন্য পিপিই কিটের প্রয়োজন নেই।
নতুন করে রাজ্যে কোভিডের গ্রাফ উঠছে। করোনার তৃতীয় ঢেউ থিতিয়ে পড়ার পর প্রায় আড়াই মাস পার করে আবারও দেড় হাজারের উপরে রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই একাধিক প্রতিষ্ঠানে কোভিড সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালগুলিও পরিস্থিতি মোকাবিলায় নতুন করে ঢাল তলোয়ারে শান দিতে শুরু করেছে। বারবার চিকিৎসকরা বলছেন, টিকা নিতে। মাস্কের ব্যবহার, হ্যান্ড স্যানিটাইজ করতে। আতঙ্ক নয়, সতর্কতাই পারে কোভিডের সঙ্গে যুঝতে। আগেও তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।