Municipal Election 2022: পিছিয়ে যেতে পারে ভোট! সম্ভবত ৪ পুরনিগমের ভোট ফেব্রুয়ারিতে: সূত্র

Municipal Election 2022: ভোট ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব হয় কি না, তা দেখতে বলেছে হাইকোর্ট।

Municipal Election 2022: পিছিয়ে যেতে পারে ভোট! সম্ভবত ৪ পুরনিগমের ভোট ফেব্রুয়ারিতে: সূত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 14, 2022 | 9:49 PM

কলকাতা : কোভিড পরিস্থিতিতে ভোট পিছিয়ে দেওয়া উচিৎ। এমন দাবি বারবার জানানো হয়েছে বিরোধীদের তরফে। এই ইস্যুতে মামলাও হয়েছে হাইকোর্টে। আদালতের তরফে ভোট পিছনোর কথা ভাবতে বলা হয়েছে কমিশনকে। এরপরই প্রশাসনিত স্তরে শুরু হয় আলোচনা। আলোচনা হয় শাসক দলের অন্দরেও। সূত্রের খবর, সেই আলোচনায় ভোট পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষেই সায় দিয়েছে একাংশ। অর্থাৎ রাজ্যের তরফে কমিশনকে ভোট পিছনোর কথা বলে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

শোনা যাচ্ছে, ৪ পুরনিগমের নির্বাচন ২ থেকে ৩ সপ্তাহ পিছিয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ২২ জানুয়ারির বদলে ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে ভোট। তবে ভোট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। শনিবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনে ভোট পিছনোর আবেদন জানাতে পারে তৃণমূল।

ঠিক কী বলেছে আদালত?

শুক্রবার বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি অজয় কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল পুরভোট সংক্রান্ত মামলার শুনানি। ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পুরভোট পিছনো যায় কি না, তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে হাইকোর্ট। কমিশনকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে জানাতে হবে আদালতে। এরপরই শুরু হয়েছে তৎপরতা।

পিছিয়ে যেতে পারে পুরভোট

আদালতের তরফে ভোট পিছনোর কথা বলার পরই বিভিন্ন স্তরে আলোচনা শুরু হয়। জানা যাচ্ছে, এ দিন দুপুর পর্যন্তও তৃণমূলের শীর্ষ স্তরের সায় ছিল ২২ জানুযারির ভোটের পক্ষেই। কিন্তু পরে দলের একাংশ ভোট পিছনোর পক্ষেই মত দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, প্রশাসনিক স্তরেও এ বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে। জানুয়ারিতে ভোট হওয়া উচিৎ নয় বলে মত প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। ২-৩ সপ্তাহ ভোট পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে, এমন প্রস্তাব উঠে এসেছে।

আদালত ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পুরভোট পিছনোর কথা বলেছে। কিন্তু ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলির নির্বাচন রয়েছে। তাই সেই ভোট প্রক্রিয়া যাতে ব্যহত না হয়, সে কথা মাথায় রেখে ২-৩ সপ্তাহ ভোট পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলতে পারে রাজ্য।

শনিবারের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত

বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে শনিবারই ভার্চুয়াল বৈঠকে বসছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, ২২ জানুয়ারি চার পুরনিগমের ভোট হবে কি না। শনিবার বিকেলে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে বৈঠকে বসবে কমিশন। এ রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতির নিরিখে আগামী ২২ তারিখ ভোট করানো আদৌ যুক্তিযুক্ত কি না, তা নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হবে। এই বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের চেয়ারম্যান খোদ মুখ্যসচিব। তাই তাঁর সঙ্গেই নির্বাচনের বিষয়ে কথা হবে বলে সূত্রের খবর।

উল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলা করা নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। হাইকোর্টের নির্দেশের পর শর্ত মেনে মেলা করা হলেও সংক্রমণের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এরই মধ্যে ভোট করে বিপদ আরও বাড়ানো হবে, এই প্রশ্নও তোলেন অনেকে। তবে গত শনিবার জল্পনা বাড়ান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন করা উচিৎ কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘আগামী ২ মাস সব বন্ধ থাকা উচিৎ।’ তবে এটা তাঁর ‘ব্যক্তিগত মত’ বলেই উল্লেখ করেছিলেন। আর এবার সেই ভোট পিছনোর পক্ষেই সম্ভবত হাঁটতে চলেছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন: Partha Chatterjee calls Kalyan Banerjee: বিতর্ক থামাতে এবার আসরে পার্থ, ফোন গেল কল্যাণ-কুণালের কাছে