Firhad Hakim: ‘পুরসভার এত লোক নেই যাঁরা বারবার পরিষ্কার করবে’, স্বীকার করে সচেতনতার উপর জোর মেয়রের

Kolkata Municipality Area: এরপর বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা বার্তা দিতে এলাকায় হাজির ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন যাদবপুর এলাকার বিধায়ক মজুমদার।

Firhad Hakim: 'পুরসভার এত লোক নেই যাঁরা বারবার পরিষ্কার করবে', স্বীকার করে সচেতনতার উপর জোর মেয়রের
ডেঙ্গি সচেতনতায় এলাকা পরিদর্শনে ফিরহাদ হাকিম (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 10, 2022 | 12:03 PM

কলকাতা: রাজ্যে দ্রুতগতিতে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। তার মধ্যে কলকাতা অন্যতম। তাই শহরবাসীকে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনার বার্তা দিতে ময়দানে নেমেছেন খোদ কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বুধবার তিনি চেতলা এলাকায় প্রচার চালান। এরপর বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা বার্তা দিতে এলাকায় হাজির ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন যাদবপুর এলাকার বিধায়ক মজুমদার।

এ দিন, সকাল-সকাল বের হয় মেয়র। ঘুরে দেখেন গোটা এলাকা। এ দিকে, মেয়রের এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তাঁদের বক্তব্য ডেঙ্গি নিয়ে শাসকদল নাটক করছে। যদিও, সেই বক্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন ফিরহাদ। বলেন, ‘দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গি এবং করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উত্তর প্রদেশে। ত্রিপুরাতেও বহু মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। তাহলে কি ধরে নিতে হবে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির সরকার এবং সেখানকার পুরসভাগুলি নাটক করছে?’ এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘আসলে বিজেপি সমস্ত বিষয়ে নাটক করে থাকে। তাই ওরা ওদের চোখ দিয়ে সবাইকে নাটক করতেই দেখে। বিজেপির কথায় কর্ণপাত করে কোনও লাভ হবে না। ডেঙ্গিও কমবে না। শহর কলকাতার মানুষের জীবনের সুরক্ষার স্বার্থে কলকাতা পৌরসভার পক্ষ থেকে এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিগত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আমাদের কাজ চলছে।তা চালিয়ে যাওয়া হবে বলেও স্পষ্ট বার্তা দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

মেয়ের বলেন, ‘শহর কলকাতাজুড়ে প্রায় ১৭৭ টি বৃহৎ আকারের ফাঁকা জমি রয়েছে। যেগুলি নোংরা আবর্জনায় ভর্তি। বেশ কয়েকবার পরিষ্কার করানো হলেও এলাকার মানুষজন ফেল আবার ওই পাকা জমি গুলিতে আবর্জনা ফেলে ভর্তি করে ফেলেছেন। কলকাতা পুরসভার হাতে বিশেষ করে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট বা পাঞ্জেরেন্সি সার্ভিসে হাতে এত বেশি লোক নেই যারা বারবার ওই আবর্জনা জমা জমিকে পরিষ্কার করে দেবে। এর জন্য মানুষকে সচেতন হতে হবে তাদেরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার একটি গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। নির্দিষ্ট স্থানে আবর্জনা ফেলতে হবে। কিছু অভ্যাস তৈরি করার মাধ্যমেই আবর্জনাহীন সুস্থ স্বচ্ছ কলকাতা ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে বলে এদিন জানান তিনি।