Na Bollei Noy: অভিষেকের পাল্টা আক্রমণ থেকে রাজু সাহানির গ্রেফতারি, যে কথা ‘না বললেই নয়’

Na Bollei Noy: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ৬ মাসের মধ্যে নতুন তৃণমূল আসছে। দেখতে দেখতে দিন চলে যাচ্ছে। ঝিমিয়ে থাকলে নতুন তৃণমূলের আবির্ভাবে দেরি হয়ে যেতে পারে, সেটা বুঝেই কি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পাল্টা লড়াই?

Na Bollei Noy: অভিষেকের পাল্টা আক্রমণ থেকে রাজু সাহানির গ্রেফতারি, যে কথা 'না বললেই নয়'
'না বললেই নয়' দেখুন TV9 বাংলায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2022 | 7:13 PM

কলকাতা: ধরুন, একটা ক্রিকেট ম্যাচ চলছে। সে খেলায় তৃণমূলের দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডল আউট হয়ে প্যাভিলিয়ন থুড়ি জেলে চলে গিয়েছেন। আরও কয়েকটা উইকেট না কি যখন তখন চলে যেতে পারে। এই অবস্থায়, কী করণীয়? একটু ধরে খেলা উচিত? না কি, পাল্টা আক্রমণ মানে কাউন্টার অ্যাটাক শুরু করা উচিত? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, গতকাল খেলতে নেমে দ্বিতীয় রাস্তাটা বেছে নিয়েছেন। ওই ইংরেজিতে একটা ইডিয়ম আছে না? অ্যাটাক ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স। অভিষেক সেটাই করেছেন। প্রতিরক্ষার জন্য আক্রমণকেই শ্রেষ্ঠ উপায় বলে মনে করেছেন। টার্গেট করেছেন কাকে? না শুভেন্দু অধিকারীকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন স্টান্স কেন? ঝিমিয়ে পড়া তৃণমূলকে চাঙ্গা করতেই কি এই কৌশল? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ৬ মাসের মধ্যে নতুন তৃণমূল আসছে। দেখতে দেখতে দিন চলে যাচ্ছে। ঝিমিয়ে থাকলে নতুন তৃণমূলের আবির্ভাবে দেরি হয়ে যেতে পারে, সেটা বুঝেই কি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পাল্টা লড়াই? যখনই, বিভিন্ন কেলেঙ্কারির তদন্তে, কোনও নেতাকে ডেকেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি, তৃণমূল বলেছে, CBI এবং ED-কে মাঠে দেখা গেলেও খেলা আসলে পরিচালনা করছে বিজেপি। আড়ালে বসে কলকাঠি নাড়ছে। সেই তত্ত্ব আরও প্রতিষ্ঠিত করতেই কি কাল দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে বেছে বেছে টার্গেট করলেন? এসব করে কি তৃণমূলকে পুরনো আক্রমণাত্মক মেজাজে ফেরানো যাবে?

চৌষট্টি খোপের খেলায়, দাবাড়ুরা প্রতিপক্ষের মনসংযোগের পরীক্ষা নেন। ধৈর্যের পরীক্ষা নেন। রাজনৈতিক নেতারাও বোধহয় শতরঞ্জ কে খিলাড়ি। চাল দেওয়ার আগে অন্যকে কোনওভাবেই বুঝতে দেন না, মাথার মধ্যে কী চলছে। গজ না কি বোড়ে? কিস্তিমাত করতে কাকে এগিয়ে দেবেন আক্রমণে? আচ্ছা, নেতাদের মুখ নেই কিন্তু মুখোশ আছে, এমন কিছু কি আছে? যদি না থেকে তাহলে, প্রসন্নকুমার রায় বা বিদ্যুত্‍বরণ গায়েনরা রাতারাতি বড়লোক হয়ে গেলেন কী করে? কেন স্থানীয় প্রশসান খোঁজ পায় না কীভাবে আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়ে যায়?

খুঁজতে খুঁজতেই তো CBI রাজু সাহানির হদিশ পেয়েছে। রাজু সাহানি ধরা পড়েছেন বলে, বোঝা যাচ্ছে শুধু গরু পাচার বা কয়লা কেলেঙ্কারি বা নিয়োগ কেলেঙ্কারি নয়, চিটফান্ড তদন্তের ফাইলটাও এখনও CBI-এর হাতে আছে। সত্যি কথা বলতে কী, কদিন আগে চিটফান্ড তদন্তে নতুন করে তোড়জোড় শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। অসমের কংগ্রেসের এক যুবনেত্রীকে চিটফান্ড তদন্তে কদিন আগে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তারপর, এই রাজুর গ্রেফতারি। রাজু সাহানি হালিশহর পুরসভার চেয়রাম্যান। কিন্তু CBI বলছে, হালিশহরের রাজুর জেন্টম্যান হয়ে ওঠার পিছনে না কি রয়েছে, চিটফান্ডের ম্যাজিক?

প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই কিছু কথা হবে। যে কথাগুলো আজ না বললেই নয়। টিভি নাইন বাংলায়, রাত ৮.৫৭।