Na Bollei Noy: আর কত কষ্ট করলে কেষ্টকে পাবে নিজাম প্যালেস? কার ভরসায় এত সাহস পাচ্ছেন অনুব্রত? যে কথা ‘না বললেই নয়’

Na Bollei Noy:কে বা কারা বাঁচাচ্ছেন কেষ্টকে? কার ভরসায় এত সাহস পাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল? হাসপাতাল সুপার? না কি আরও বড় মাথা? বাকি কথা জানতে,টিভি নাইন বাংলায় দেখুন ‘না বললেই নয়’।

Na Bollei Noy: আর কত কষ্ট করলে কেষ্টকে পাবে নিজাম প্যালেস? কার ভরসায় এত সাহস পাচ্ছেন অনুব্রত? যে কথা ‘না বললেই নয়’
'না বললেই নয়' দেখুন TV9 বাংলায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 10, 2022 | 8:15 PM

কলকাতা: অক্সিজেনের হাই ডিমান্ড। কিন্তু, এসএসকেএম দেয়নি। বোলপুর মহকুমা হাসাপাতাল কাদের প্রচণ্ড চাপে অক্সিজেন দেওয়ার একটা চেষ্টা করেছিল বটে, কিন্তু হাটে হাঁড়ি ভেঙে গিয়েছে। কাজেই অক্সিজেনের খোঁজে দৌড়তে হচ্ছে দিল্লি। নাছোড়বান্দা সিবিআইকে এড়াতে, সুপ্রিম কোর্টের ভরসায় বীরভূমের ‘ভরসা’ অনুব্রত মণ্ডল। ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে না কি ভয় পায়। এই দেখুন, সেই ঘুরে ফিরে গরুর রচনা লিখতে বসেছি। গরুরাও কি কোনও দিন ভাবতে পেরেছিল এত ফুটেজ পাবে? গরুরা ফুটেজ খাচ্ছে, কারণ ব্যাপারটা গুরুতর।

অনুব্রত মণ্ডল (নাম তো শুনাহি হোগা), গরু পাচার মামলায় ফেঁসে গেছেন। নাম জড়ানোয় সিবিআই ডেকেছে। আর অনুব্রতর আপাদমস্তক গরু খোঁজার মতো করে রোগ খোঁজা চলছে। এসএসকেএম হাসপাতাল যতই বলুক, অনুব্রত ফিট। হিট কিন্তু বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল। কেমন চট করে অনুব্রত মণ্ডলকে বেড রেস্ট লিখে দিয়েছেন বোলপুরের ডাক্তার। শোনা যাচ্ছে, কী লিখতে হবে সেই অনুরোধ নাকি করেছিলেন কেষ্টবাবু স্বয়ং। বোলপুর মহকুমা হাসাপাতালের ডাক্তারের নাম চন্দ্রনাথ অধিকারী, পুষ্পা রাজ তো নয়। যে অনুব্রত মণ্ডলের চোখে চোখ রেখে বলবেন, ঝুকেগা নেহি ….। তাই চন্দ্রনাথ ঝুঁকেছেন, সাদা কাগজে লিখেছেন রেস্ট। ব্যাস, বিশ্রামে চলে গেছেন অনুব্রত। এই নিয়ে ১০ বার সিবিআই-এর ডাক এড়ালেন কেষ্ট মণ্ডল। সত্যি আর কত কষ্ট করলে যে কেষ্টকে পাবে নিজাম প্যালেস!

সে যাই হোক। ডাক্তারবাবু,রেস্ট লিখে দেওয়ার পর থেকেই মর্মে মরে আছেন। যা বলেছেন, তাঁর মানে দাঁড়াচ্ছে, জলে থেকে কি আর কুমিরের সঙ্গে শত্রুতা করা যায়! নিঃসন্দেহে বিচক্ষণ মানুষ চন্দ্রনাথ। খামোখা কুমিরের সঙ্গে লড়তে যাবেন কেন! বরং কেষ্ট মণ্ডলের জন্য কারা কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণ করছে, তাদের মুখোশটা খুলে দিন দেখি। কে বা কারা বাঁচাচ্ছেন কেষ্টকে? কার ভরসায় এত সাহস পাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল? হাসপাতাল সুপার? না কি আরও বড় মাথা? হাসপাতালের কাজকম্ম ফেলে, নেতাকে দেখতে যাওয়ার এলেম কার মাথায় এসেছিল বলুন তো! 

যাক গে, গরুর কথা বলতে বলতে ট্যাঁশ গরুর কথা মনে পড়ে গেল। সুকুমার রায় লিখেছিলেন, ট্যাঁশ্ গরু খাবি খায় ঠ্যাস্ দিয়ে দেয়ালে,মাঝে মাঝে কেঁদে ফেলে না জানি কি খেয়ালে ; মাঝে মাঝে তেড়ে ওঠে, মাঝে মাঝে রেগে যায়, মাঝে মাঝে কুপোকাৎ দাঁতে দাঁত লেগে যায়। মিল পেলেন না কি কোনও? মিল পেলে সে নেহাতই কাকতালীয়। বাকি কথা জানতে,টিভি নাইন বাংলায় দেখুন ‘না বললেই নয়’। রাত ৮.৫৭।