Na Bollei Noy: শাসকের মূল দুর্গ অভিযানে কতটা ছাপ ফেলল বিজেপি? যে সব কথা ‘না বললেই নয়’

Na Bollei Noy: রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল রাজ্যের শাসক দলের মূল দুর্গ অভিযানের ডাক দিয়েছিল। ফলে টান টান উত্তেজনা , সাজো সাজো রব , স্ট্র্যাটেজি আর পাল্টা স্ট্র্যাটেজির লড়াই হবে, সেটাই তো স্বাভাবিক।

Na Bollei Noy: শাসকের মূল দুর্গ অভিযানে কতটা ছাপ ফেলল বিজেপি? যে সব কথা 'না বললেই নয়'
না বললেই নয়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 13, 2022 | 8:14 PM

যত দিন যাচ্ছে, ক্রমশ বুঝতে পারছি আমরা কত অর্বাচীন আর মহাপুরুষরা কত প্রাজ্ঞ, দূরদর্শী। তাঁদের কথা কেন মাথায় করে রাখা উচিত। তাঁরা যা বলেন, আমরা চটজলদি তার একটা মানে করে নিই। কিন্তু পরে বুঝতে পারি, আসলে সেই কথার মানে কত সুদূরপ্রসারী, কত গভীর। এই ধরুন না, সেই কবে রামকৃষ্ণ বলে গেছেন, টাকা মাটি , মাটি টাকা। আজকের দিনে ভেবে দেখুন, সত্যিই তো, জমিতেই তো টাকা। চারপাশে জমির যা দাম বাড়ছে, ইনভেস্ট করতে হলে জমিতেই তো করা ভাল।

আবার দেখুন, চারপাশে এর-তার ফ্ল্যাটে উঁকি মারলেই নোটের পাহাড় পাওয়া যাচ্ছে। সেই নোট আবার এই আছে, এই নেই। মানে এই পার্থ-বান্ধবী অর্পিতার ফ্ল্যাটে, তো এই সরকারের ঘরে। সব মাটি , সব মায়া। আবার দেখুন, পরমহংস বলেছিলেন, যত মত তত পথ। কথাটা যে কত বড় সত্যি, সেটা বোঝা গেল বিজেপির আজকের নবান্ন অভিযানে। সুকান্ত, শুভেন্দু, দিলীপ, কারও সাথে কারও মিল নেই। যে যার নিজের পথে চলেন। তাই অভিযানের স্ট্র্যাটেজিও ঠিক হয়েছিল সেভাবেই। এক একজন এক এক রাস্তা ধরে এগোবেন। বলতে পারেন বহুত্ববাদে দলীয় সিলমোহর।

শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ওই যত মত তত পথের গুনগান করে গেলেন নেতারা। আর তার মাধ্যমেই একটা বড় রাজনৈতিক কর্মকান্ড দেখে ফেলল কলকাতা। বড় মানে কি , বেশ বড়। কারন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল রাজ্যের শাসক দলের মূল দুর্গ অভিযানের ডাক দিয়েছিল। ফলে টান টান উত্তেজনা , সাজো সাজো রব , স্ট্র্যাটেজি আর পাল্টা স্ট্র্যাটেজির লড়াই হবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। বাড়তির মধ্যে, বিজেপি নবান্ন অভিযানের ডাক ছিল আসলে একটা চেনা ধারনাকে বদলে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ।

বিজেপি নেতারা নাকি যতটা গর্জান, ততটা বর্ষান না। পুলিশ রাস্তায় রাস্তায় প্রায় দূর্গ গড়েছিল। সেই বাধা টপকে, পুলিশের লাঠি, টিয়ার গ্যাস, জল কামান সামলে নবান্নে পৌঁছতে পারেননি বিজেপি কর্মীরা। বদলা নিতেই কি, কলকাতা পুলিশের এই গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল? আজ মহাত্মা গান্ধী রোড, রবীন্দ্র সরণি কানেক্টরে কলকাতা পুলিশের এই পিসিআর ভ্যানটি চোখের সামনে পুড়ে গেল। দেখে মনে হচ্ছিল, আমার-আপনার টাকা জ্বলে খাক হয়ে যাচ্ছে। পুলিশের গাড়ি মানে তো সেটা সরকারি সম্পত্তি। আমার-আপনার মতো মানুষের করের টাকায় গাড়িটি কেনা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথাতেই স্পষ্ট, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার বিষয়টা তাঁদের কাছে অস্বস্তিকর। তাই, তিনি দাবি করেছেন, বিজেপিকে অপদস্থ করতে, তৃণমূল কর্মীরা বা পুলিশ নিজে গাড়িতে আগুন দিয়েছে।

আজ দিনের শুরুতে কিন্তু বোঝা যায়নি, বিজেপির নবান্ন অভিযান এই জায়গায় এসে পৌঁছবে। তবে সময় যত গড়াল বিজেপি যেটা চেয়েছিল সেটা পেল। যে দলটাকে রাস্তায় আন্দোলনে সেভাবে পাওয়া যাচ্ছিল না, তাঁদের অনেকদিন পর রাস্তায় আন্দোলন করতে দেখা গেল। শুধু বিজেপি নয়, তৃণমূলের উদ্দেশ্যও আজ পূর্ণ হয়েছে। আজ বোঝা গেল, বিজেপির থেকেও তাদের বড় শত্রু শুভেন্দু অধিকারী। কেন? বলব সেই সব কথা। যে কথাগুলো আজ না বললেই নয়।

না বললেই নয়। আজ রাত ৮.৫৭। টিভি নাইন বাংলায়।