National Medical College Hospital: কীভাবে বেড থেকে উধাও রোগিণী? বাথরুমের পাশ থেকে দেহ উদ্ধারে কমিটি গঠন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের

National Medical College Hospital: সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্ত্রী রোগ বিভাগের বাথরুমের পিছনে নর্দমার সামনে থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়।

National Medical College Hospital: কীভাবে বেড থেকে উধাও রোগিণী? বাথরুমের পাশ থেকে দেহ উদ্ধারে কমিটি গঠন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের
কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 31, 2022 | 1:44 PM

কলকাতা: হাসাপাতালের স্ত্রী রোগ বিভাগের বাথরুমের পিছন থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে মৃতদেহটি কীভাবে উদ্ধার হয়েছিল, সেই বর্ণনা প্রসঙ্গে রোগীর পরিজনদের দেওয়া তত্ত্ব মানতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধন্দ। পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছেন লালবাজারের হোমিসাইড শাখার ওসি।

সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্ত্রী রোগ বিভাগের বাথরুমের পিছনে নর্দমার সামনে থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ওই মহিলাই গত বুধবার হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। রোগীর পরিবারের দাবি, রবিবার থেকে তাঁদের বাড়ির মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ফাঁড়ি থানার পুলিশকে জানিয়েছিলেন তাঁরা। সোমবার দেহ উদ্ধারের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর আত্মীয়রা। তাঁদের দাবি, খুন করেই বাথরুম থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে দেহ।

রোগীর এক আত্মীয়ের বর্ণনা অনুযায়ী, দেহটি মুখ থুবড়ে পড়েছিল। হাত পিছমোড়া করে বাঁধা ছিল। কান ছিল না। মাথার পিছনেও আঘাত ছিল। এখানেই প্রশ্ন। রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে আবার অনেকে নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না হাত পিছমোড়া করে বাঁধা আদৌ ছিল কিনা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, তা ছিল না। তবে কুকুর, ইঁদুর, বিড়াল যে কান খেয়েছে, সেটা বলছেন পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনার পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ তোলা হচ্ছে। পরিবারের অভিযোগ, রবিবার থেকেই তাঁদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। মৃতের দিদি বলেন, “আমি সকালে ভিতরে ঢুকে সব দেখে আসি। বাথরুমও একবার দেখে আসি। তখন কিছু ছিল না। আবার দেখতে গেলে ওরা আর ঢুকতে দেয় না। পরে বাথরুমের পিছন থেকেই দেহ উদ্ধার হয়। ওখান থেকেই কীভাবে ফেলল ওরা।” পরিবারের বয়ান অনুযায়ী, হাত যদি পিছমোড়া করে বাঁধা থাকে, সেক্ষেত্রে খুনের একটা সম্ভাবনা উঠে আসছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা মানতে নারাজ। কিন্তু কীভাবে বেড থেকে উধাও হয়েছিলেন রোগিণী, সেটা খতিয়ে দেখছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হচ্ছে, স্বাস্থ্য ভবনের তরফে তদন্ত শেষ না হ‌ওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে মন্তব্য করার অনুমতি নেই। হাসপাতালের তরফে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশের তরফেও লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্তভার নিয়েছে। ওয়ার্ড থেকে রোগী কী ভাবে উধাও হলেন তা দেখা হচ্ছে। রোগীর পরিজনদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ঠিক নয়। হাত পিছমোড়া করে বাঁধা ছিল না। দেহে কী ধরনের আঘাত রয়েছে তা ময়নাতদন্তের পর বোঝা যাবে। আপাতত গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা।