Newtown Smuggling: ‘বাইরে কাজে চল, অনেক টাকা পাবি…’, নিজের জা-এর সঙ্গেই ‘নোংরা খেলা’ নিউটাউনের গৃহবধূর
Newtown Smuggling: অভিযোগ, ওই গৃহবধূ বাপের বাড়ি থেকেই এই সমস্ত কাজ করছিলেন। কাজের নাম করে ভিন রাজ্যে যান। তারপরেই ফিরে এসে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই গৃহবধূ।
কলকাতা: ‘বাইরে কাজ আছে, অনেক টাকা পাবি, চল নিয়ে যাই তোকে…’। বারবার জা-কে প্রলোভন দেখাতেন বড় জা। কিন্তু কাজ না হওয়ায় রীতিমতো তাঁকে শাসানো হতে থাকে বলে অভিযোগ। দেওরের স্ত্রীকে পাচারের চেষ্টার অভিযোগ উঠল নিউটাউনের এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই গৃহবধূকে।
নিউটাউনের প্রমোদগড়ের বাসিন্দা ওই গৃহবধূ।তাঁকে পাচার করার চেষ্টা করেছেন তারই মাসতুতো জা। এমনটাই অভিযোগ করছেন ওই গৃহবধূর বাড়ির সদস্যরা। তাঁর দিদি জানান, বোনকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে ভিন রাজ্যে কাজ দেওয়ার নাম করে অনেক টাকার লোভ দেখানো হয়।
শেষে যখন প্রলোভনে পা না দেন তাঁর বোন, তখন রীতিমত তাঁকে শাসানো হত বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়িতে যোগাযোগ করা হলে তাঁর স্বামী জানান, ২ মাস আগে তিনি সংসার ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান।
অভিযোগ, ওই গৃহবধূ বাপের বাড়ি থেকেই এই সমস্ত কাজ করছিলেন। কাজের নাম করে ভিন রাজ্যে যান। তারপরেই ফিরে এসে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই গৃহবধূ। শেষের দিকে তাঁর ওপর রীতিমতো মানসিক নির্যাতন চালানো হত বলে অভিযোগ। এমনকি হুমকিও দেওয়া হত তাঁকে।
বিস্ফোরক অভিযোগ ঘিরে সরগরম এলাকা। এরপর পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হন পরিবার। কেন এক জনকে ভিন রাজ্যে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য এত উচাটন ছিল ওই মহিলার, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে, আদৌ কি ওই গৃহবধূ অন্য কোনও চক্রের সঙ্গে জড়িত, তিনি কি কোনও পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই ধরনের ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। যদি দোষ প্রমাণিত হয়, তাহলে কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। এক প্রতিবেশীর কথায়,”পাড়ার মধ্যেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। আমরা তো ভাবতেই পারছি না। এ আবার কী, চাকরি দেওয়ার নাম করে কে আবার এমন করে!”
নিগৃহীতার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে রবিবার গ্রেফতার করেছে নিউটন থানার পুলিশ। এর পেছনে বড় কোনও চক্র আছে কিনা তদন্ত করছে নিউটাউন থানার পুলিশ। যদিও অভিযুক্ত এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়াই দিতে চাননি।