Kolkata: ফাটল বিপর্যয়ের মুখে কলকাতা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক বাড়ি, এলাকায় ছুটলেন মেয়র
Kolkata: কলকাতা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে একের পর এক বাড়িতে ফাটল। বাড়ছে উদ্বেগ।
কলকাতা: মেট্রো বিপর্যয়ের জেরে ফাটল ক্ষত এখনও দগদগে বউবাজারে। এমতাবস্থায় এবার কলকাতা পৌরসভার (Kolkata Municipality) ১ নম্বর ওয়ার্ডের রতন বাবুর ঘাট সংলগ্ন এগারোটি বাড়িতে বড়সড় ফাটল দেখতে পাওয়া যাওয়ায় নতুন করে বাড়ছে উদ্বেগ। মঙ্গলবারই ঘটনাস্থলে যান এলাকার পুরপিতা থেকে শুরু করে খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এলাকার মূল যে নিকাশি রয়েছে তা জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর তার জেরেই এ বিপত্তি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাস্তাতেও নেমেছে ধস।
যে সমস্ত বাড়িতে ফাটল ধরেছে সে সমস্ত আবাসিকদের স্থানান্তরিত করা হয়েছে সামনের একটি স্কুলে। অনির্দিষ্টকালের জন্য সেখানেই ঠাঁই তাঁদের। সেখানেই চলছে তাঁদের দিনযাপন। তবে ইতিমধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাস্তাঘাট মেরামতের কাজ শুরু করেছে পুরসভা। কিন্তু এ ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। যাঁদের বাড়িতে ফাটল রয়েছে তাঁরাও ফাটল আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। অনেকেই মনে করছেন এবার বুঝি তাঁদের পালা।
এমতাবস্থায়, এলাকার মূল নিকাশি মাধ্যম মুন্নি-কাশি পাইপ লাইন নিয়ে নতুন করে বেড়েছে উদ্বেগ। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে অনেকদিন আগেই।ফলে গঙ্গায় সেই জল আর পড়ছে না। সাময়িকভাবে অন্য পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল নিকাশের ব্যবস্থা করলেও সমস্যাও আরও বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি এলাকার বাসিন্দাদের। বর্তমানে নিকাশি পাইপলাইনের জল মূল একটি নিকাশি পাইপলাইনের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, আগের নিকাশি পাইপলাইনের সঙ্গে এখনও এলাকার বেশ কিছু নিকাশি সংযোগ রয়েছে। ফলে জল সরাসরি আটকে দেওয়া অংশে ধাক্কা খাচ্ছে। তাতেই বেড়েছে উদ্বেগ। এই সঙ্কটকালে এলাকাবাসীদের বক্তব্য তারা আতঙ্কে রয়েছেন, পুরসভা তাদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করুক তাড়াতাড়ি।
ওই এলাকার পিছনেই রয়েছে গঙ্গা। প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় আবার ধস নামবে কিনা তা নিয়ে না আশঙ্কা বাড়ছে সকলের মধ্যে। বড়সড় দুর্ঘটনার ভয় পাচ্ছেন সকলেই। তবে, ফাটল ধরা বাড়ির আবাসিকদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়ে সেখানে তাদের খাওয়া-দাওয়া সব কিছুর ব্যবস্থা করছে পুরসভা। কিন্তু, ভিটেমাটির টান তাঁদের পিছু ছাড়ছে না, তাই সকাল সকালই স্কুল ছেড়ে নিজেদের বাড়ির সামনে চলে এসেছেন ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা। মূল পাইপলাইন সরিয়ে কবে আবার তারা বাড়িতে ফিরতে পারবেন সেটা যদি এখন অনিশ্চিত।