Pallavi Dey’s Death: রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার পল্লবীর লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক

Pallavi Dey’s Death: আর্থিক তছরূপের অভিযোগে সাগ্নিককে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এরপরই গ্রেফতার করা হয় পল্লবীর সঙ্গীকে।

Pallavi Dey’s Death: রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার পল্লবীর লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক
সাগ্নিকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 17, 2022 | 6:39 PM

কলকাতা : অভিনেত্রী পল্লবী দে-র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সামনে এনেছিলেন পল্লবীর বাবা। অভিযোগের ভিত্তিতে সাগ্নিককে দীর্ঘক্ষণ জেরাও করা হয় গড়ফা থানায়। অবশেষে গ্রেফতার করা হল সাগ্নিককে। সোমবার সারা রাত তাঁকে জেরা করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আর মঙ্গলবারই গ্রেফতার করা হল সাগ্নিককে। জোর করে আটকে রাখা, নির্যাতন করার মতো অভিযোগ তোলা হয়েছে সাগ্নিকের বিরুদ্ধে। কিন্তু সূত্রের খবর, আর্থিক তছরূপ সংক্রান্ত অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সাগ্নিককে।

রবিবার দুপুরে গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় বছর ২৫-এর পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ। ওই ফ্ল্যাটেই থাকতেন সাগ্নিক। পল্লবীর মৃত্যুর সময় তিনি বাইরে ধুমপান করতে বেরিয়েছিলেন বলে জেরায় জানান সাগ্নিক। ফলে, অভিনেত্রীর রহস্যমৃত্যুতে সাগ্নিকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ছিল প্রথম থেকেই। রবিবার ওই ঘটনার পর সোমবার থেকেই সাগ্নিককে জেরা করতে শুরু করে পুলিশ। আর সোমবার পল্লবীর পরিবারের তরফ থেকে সাগ্নিকের বিরুদ্ধে ৭ টি ধারায় মামলা করা হয়। খুন, আর্থিক তছরূপ, জোর করে আটকে রাখা ও মারধর করা, জিনিসপত্র হাতিয়ে নেওয়ার মতো অভিযোগ রয়েছে সেখানে। এরপর সোমবার রাতেই তাঁকে ফের জেরা করে পুলিশ। রাতভর জেরার পর মঙ্গলবার সকালেও জারি ছিল সেই প্রক্রিয়া। অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করা হল। জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।

শুধু খুন বা আত্মহত্যায় প্ররোচণা নয়, টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও ওঠে সাগ্নিকের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, সিরিয়ালে কাজ করার সুবাদে পল্লবীর টাকা অভাব ছিল না। তাঁর বাবা জানিয়েছেন, পল্লবীর কাছ থেকে কোনও টাকা চাইতেন না তাঁরাও। ফলে উপার্জনের সব টাকাই যে হাতিয়ে নিতেন সাগ্নিক, এমনটাই দাবি পরিবারের। এই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সাগ্নিক ও পল্লবীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সব হিসেব খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। এরপরই গ্রেফতার করা হয়েছে।

সাগ্নিককে জেরা করে জানা গিয়েছে, পল্লবীর সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট ছিল সাগ্নিকের। নিউটাউনে ৮০ লক্ষ টাকার ফ্ল্যাট কিনেছিলেন সাগ্নিক। দামি গাড়িও কিনেছিলেন তিনি। ১৫ লক্ষের ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে দুজনের। তবে ফ্ল্যাট ও গাড়ির অনেক টাকাই যে পল্লবী দিয়েছিল, তেমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। পল্লবীর ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, সাগ্নিক চাকরি করে যে টাকা রোজগার করতেন, তা দিয়ে এমন বিলাসবহুল জীবন যাপণ করা সম্ভব ছিল না।

পাশাপাশি সাগ্নিকের একাধিক সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ঐন্দ্রিলা নামে এক মহিলার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে আর এক মহিলার সঙ্গে রেজিস্ট্রিও হয়ে গিয়েছিল সাগ্নিকের। সব মিলিয়ে সাগ্নিককে প্রথম থেকে কাঠগড়ায় তুলেছিল পল্লবীর পরিবার। অবশেষে গ্রেফতার করা হল সাগ্নিককে।